ভুটানের ১৬ পণ্যে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দিল বাংলাদেশ

২০২০ সালের অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির (পিটিএ) আওতায় ভুটানের ১৬টি পণ্যে নতুন করে শুল্কমুক্ত প্রবেশে সুবিধা দিয়েছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে গত ৪ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) একটি আদেশ জারি করে, যা সোমবার (৮ আগস্ট) প্রকাশ করা হয়।

আদেশ অনুযায়ী, ভুটান থেকে ১৬টি পণ্য আমদানিতে কোনোধরনের কাস্টমস ডিউটি বা ট্যাক্স আরোপ করা হবে না।

শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়া পণ্যেগুলোর মধ্যে রয়েছে- দুধ; প্রাকৃতিক মধু; গম বা মেসলিনের আটা; জ্যাম, ফলের জেলি; মার্মালেড; সিমেন্ট ক্লিংকার; পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট; সাবান; পার্টিকেল বোর্ড; ফেরো সিলিকন; লৌহ অথবা নন-আলয় স্টিলের বার, রড; মিনারেল ওয়াটার; গমের ভূষি এবং কাঠের আসবাবপত্র ইত্যাদি।

ভুটানে মূলত তৈরি পোশাক, খাদ্যসামগ্রী, প্লাস্টিক, ওষুধ, গৃহসজ্জা সামগ্রী, বৈদ্যুতিক পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ। আর ভুটান থেকে সবজি ও ফলমূল, খনিজ দ্রব্য, নির্মাণ সামগ্রী, বোল্ডার পাথর, কেমিক্যাল আমদানি করে।

পিটিএ’র শর্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশের ১০০টি পণ্য ভুটানে এবং ভুটানের ৩৪টি পণ্য বাংলাদেশে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে। অবশ্য ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশ ভুটানকে ১৮টি পণ্যে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা দিচ্ছে। আর বাংলাদেশের ৯০টি পণ্য ভুটানে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পাচ্ছে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.