দারুণ শিক্ষা হয়েছে, হারের পর ডমিঙ্গো

২০২৩ সালে অনুষ্ঠেয় ভারত বিশ্বকাপের আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ হারের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ দল দারুণ কিছুই শিখেছে বলে জানিয়েছেন প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। যদিও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচগুলো যেহেতু আইসিসি সুপার লিগের অংশ নয়, তাই এ নিয়ে খুব একটা সমস্যা দেখছেন না তিনি।

কয়েকমাস আগেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাদেরই ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। তারপর ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও তাদের ঘরের মাঠে সিরিজ হারিয়েছে তামিম ইকবালের দল। সবমিলিয়ে দারুণ ছন্দেই ছিল বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশের অতি আত্মবিশ্বাসে রীতিমতো কুলুপ এঁটে দেয় জিম্বাবুয়ে।

ডমিঙ্গো বলেন, ‘গত বছর দেড়েকের পারফরম্যান্সে ওয়ানডে দলের সমালোচনা করা কঠিন। অসাধারণ কিছু ফল, দারুণ কিছু জয় ওরা পেয়েছে। তবে অনেক কাজ করার বাকি আছে ব্যাটিং ও বোলিংয়ে। জিম্বাবুয়ের চারটি শতরান আছে, আমাদের একটিও নেই। আমাদের ৩০, ৪০ রানের ইনিংস আছে, ৫০ আছে। কিন্তু শতরান করতে হবে, ম্যাচ জেতানো ইনিংস লাগবে। কোচিং স্টাফ হিসেবে আমাদের জন্য ও ক্রিকেটারদের জন্য দারুণ কিছু শিক্ষা হয়েছে। বিশ্বকাপের এখনও প্রায় বছর দেড়েক সময় বাকি আছে। সৌভাগ্যবশত, এই খেলাগুলোর কোনো পয়েন্ট নেই। আমাদের জন্য তাই এটিকে দারুণ শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা হিসেবে নিতে হবে এই সিরিজ।’

সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে চার হাফ সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ করে দুই উইকেটে ৩০৩ রান। জবাবে সিকান্দার রাজা এবং ইনোসেন্ট কাইয়ার সেঞ্চুরিতে ৪৮.২ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় ম্যাচেও অতিরিক্ত ডট বল খেলার খেসারত দেয় বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাফ সেঞ্চুরিতে ৫০ ওভারে নয় উইকেটে ২৯০ রান করে তারা। জবাবে সিকান্দার রাজা এবং অধিনায়ক রেগিস চাকাভার সেঞ্চুরিতে পাঁচ উইকেটে জেতে স্বাগতিকরা। তৃতীয় এবং শেষ ওয়ানডে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ১০ আগস্ট। নিশ্চিতভাবেই সেই ম্যাচটি জিতে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর চেষ্টা করবে তামিম বাহিনী।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.