খোলাবাজারে পরিদর্শন: তিন মানি এক্সচেঞ্জের লাইসেন্স স্থগিত

খোলাবাজারে নিয়ম না মেনে ডলার কেনাবেচা করায় রাজধানীর তিনটি মানি চেঞ্জারের লাইসেন্স স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতিষ্ঠান তিনটি হলো বিসমিল্লাহ মানি চেঞ্জার, অঙ্কন মানি চেঞ্জার ও ফয়েজ মানি চেঞ্জার।

এ ছাড়া আরও একাধিক অবৈধ মানি চেঞ্জারের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ডলারের বাজার নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০টি পরিদর্শক দল অভিযান পরিচালনা করছে। খোলাবাজারে ডলারের কারসাজি পরিদর্শনে অনিয়ম পাওয়ায় কয়েকটি মানি চেঞ্জারের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। বাজার স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে।

ব্যাংকের পাশাপাশি খোলাবাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় গত সপ্তাহে মানি চেঞ্জার পরিদর্শন শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণ জানতে ব্যাংকেও পরিদর্শক দল পাঠায় বাংলাদেশ ব্যাংক। খোলাবাজারে ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে ধানমন্ডি, পল্টন, মতিঝিল, বনানী এলাকার ২২টি মানি চেঞ্জার পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দার (এনএসআই) কর্মকর্তারা। বেশির ভাগ মানি চেঞ্জার নিয়ম মেনে ব্যবসা পরিচালনা করছে না।

আবার কেউ কেউ অবৈধ ব্যবসার সঙ্গেও জড়িয়ে পড়েছে বলে পরিদর্শনে বেরিয়ে এসেছে। ফলে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমছে কিছুদিন ধরেই। এক মাসের ব্যবধানে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে ৫ শতাংশের বেশি। আর এক বছরের ব্যবধানে কমেছে ১০ দশমিক ৮০ শতাংশ।

আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে এক ডলারের জন্য খরচ করতে হয়েছে ৯৪ টাকা ৭০ পয়সা, তবে সব ব্যাংকেই নগদ ডলারের দাম বেড়ে ১০০ টাকার ওপরে উঠেছে। ১০৫ থেকে ১০৮ টাকায়ও বিক্রি করছে কোনো কোনো ব্যাংক। গত মঙ্গলবার কার্ব মার্কেট বা খোলাবাজারে ডলারের দর সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ১১২ টাকায় বেচাকেনা হয়।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে, বুধবার দিনের শুরুতে বাংলাদেশ ব্যাংক তদন্ত শুরু করলে বাজারের পরিস্থিতি পাল্টে যায়। মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে হিসাবের বাইরে খোলাবাজারের মতো আগে যে ডলার বেচাকেনা হতো, সেটি বন্ধ হয়ে যায়।

সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে দেখা গেছে, যাদের লাইসেন্স আছে তারা ছাড়াও অনেকে ডলার কেনাবেচনার সঙ্গে জড়িত। যারা এমন ব্যত্যয় ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে জরুরিভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাদের লাইসেন্স দিয়েছে সেটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলা হয়েছে। লাইসেন্স ছাড়া ডলার কেনাবেচা করা অন্য প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

অর্থসূচক/এমএস/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.