সার্কিটব্রেকার ফিরে গেল আগের অবস্থায়

পুঁজিবাজারে একদিনে একটি কোম্পানির শেয়ারের মূল্য পরিবর্তনের গ্রহণযোগ্য সীমায় (Circuit Breaker) পরিবর্তন আনা হয়েছে। সার্কিটব্রেকার ফিরে গেছে আগের অবস্থায়। এর ফলে একটি কোম্পানির শেয়ারের দাম একদিনে ২ শতাংশের পরিবর্তে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারবে।

তবে সার্কিটব্রেকার যা-ই হোক না কেন, শেয়ারের দাম ফ্লোর প্রাইসের নিচে নামতে পারবে না। সংশ্লিষ্ট শেয়ারের দাম ১০ শতাংশ কমার পরও যদি তা ফ্লোরপ্রাইসের উপরে থাকে, তাহলেই কেবল তা কমতে পারবে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সার্কিটব্রেকার সংক্রান্ত এই সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে। একই দিনে বিএসইসি বর্তমান বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সাময়িক সময়ের জন্য ফলোরপ্রাইস ব্যবস্থা চালু করেছে।

বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

উল্লেখ, ২০২০ সালের শুরুর দিকে করোনাভাইরাস অতিমারি শুরু হলে বাজারকে ধস থেকে রক্ষা করতে প্রথমে ফ্লোর প্রাইস ব্যবস্থা চালু করা হয়। পরবর্তীতে এটি উঠিয়ে নিয়ে স্বাভাবিক সময়ের সার্কিটব্রেকারের পরিবর্তে বিশেষ সার্কিটব্রেকার আরোপ করা হয়। পরে কয়েক দফায় তাতে পরিবর্তন আনা হয়।

সর্বশেষ চলতি বছরের ২৫ মে জারি করা নির্দেশনায়, সার্কিটব্রেকারের নিম্নমুখী সীমা ২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। আর উর্ধসীমা ১০ শতাংশই বহাল থাকে। অর্থাৎ সর্বশেষ সার্কিটব্রেকার অনুসারে, একদিনে একটি কোম্পানির শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ২ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারতো। কিন্তু দাম বাড়তে পারবো ১০ শতাংশ পর্যন্ত।  স্বাভাবিক সময়ের সার্কিটব্রেকার অনুসারে, একদিনে একটি কোম্পানির শেয়ারের দাম ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে। আগামী রোববার (৩১ জুলাই) সার্কিটব্রেকার আগের অবস্থায় ফিরে যাবে।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.