‘শিশু নিহতের ঘটনায় পুলিশ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ঠাকুরগাঁওয়ে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গুলি করেছে। যদি পুলিশের গুলিতে শিশু মারা গিয়ে থাকে তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় তদন্ত হবে। তদন্তে যদি দেখা যায়, শিশুটি পুলিশের গুলিতে মারা গিয়েছে, তাহলে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) বিকেলে মৌলভীবাজারের পুলিশ লাইন্সে জেলা পুলিশের মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারাই অন্যায় করছেন তাদের বিচার হচ্ছে। সে হোক শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ বা অন্য কোনো জনপ্রতিনিধি। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। ২০৪০ সালে বাংলাদেশ ইউরোপের মতো একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র হবে দাবি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু দিয়ে আমরা তো শুধু শুরু করেছি। আমরা আরও এগিয়ে যাব।

তিনি বলেন, দেশে কিছু দারিদ্রতা আছে। তবে দিন দিন তা কমে আসছে। এই জায়গা থেকেও আমাদের খুব শিগগিরই উত্তরণ হবে। আমাদের দেশে দারিদ্রতা কেমন ছিল তা দেখার জন্য কয়েক দিন পর এই প্রজন্মকে মিউজিয়ামে যেতে হবে। আজ যে কারখানায় এসেছে এটি চালু হলে অন্তত ১ হাজার ২০০ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এভাবে দেশ এগিয়ে যাবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, মৌলভীবাজার-হবিগঞ্জ সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমেদ, জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান ও জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জাকারিয়া প্রমুখ।

উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ ও ফলাফল গণনা শেষে দুই পক্ষের উত্তেজনার জেরে সৃষ্ট সহিংসতার ঘটনায়। এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গতকার বুধবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের ভাংবাড়ি ভি.এফ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে পুলিশের গুলিতে সুরাইয়া আক্তার নামে এক শিশু নিহত হয়েছে। নিহত শিশু মীরডাঙ্গী গ্রামের ফেরিওয়ালা বাদশা ও মিনারা বেগমের তৃতীয় সন্তান। তাৎক্ষণিকভাবে রাতেই জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.