দারুণ সব শটের পসরা সাজিয়ে আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে ফিন অ্যালেনের সেঞ্চুরি। শেষ দিকে মাত্র ৯ বলে ৩০ রানের ক্যামিওতে নিউজিল্যান্ডকে বড় পুঁজি এনে দিলেন জেমস নিশাম। বড় লক্ষ্য ভালো শুরু করলেও ইশ সোধি-মিচেল স্যান্টনারের সঙ্গে পেরে উঠতে পারেননি স্কটল্যান্ডের ব্যাটাররা। ৬৮ রানের বড় জয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করল নিউজিল্যান্ড।

বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালোই করেছিল স্কটল্যান্ড। পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৬ রান তুলেছিল দুই ওপেনার জর্জ মানজি এবং কলাম ম্যাকলয়েড। পাওয়ার প্লে শেষ অবশ্য রান তোলার গতি হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। ইনিংসের নবম ওভারে এসে প্রথম উইকেট হারায় স্কটল্যান্ড। সোধির অফ স্টাম্পের বাইরের টসড আপ ডেলিভারিতে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে অ্যালেনকে ক্যাচ দেন মানজি। ২৮ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে মানজি ফিরলে ভাঙে ম্যাকলয়েডের সঙ্গে ৬২ রানে উদ্বোধনী জুটি। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে স্কটিশরা।

তিনে নেমে থিতু হতে পারেননি অলি হ্যারিস। সোধির বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে তারই হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৭ রান করা বাঁহাতি এই ব্যাটার। হ্যারিসের পর আউট হয়েছেন ম্যাকলয়েড। স্যান্টনারের বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে বোলারের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। তাতে ২২ বলে ৩৩ রান করে ফিরে যেতে হয় ম্যাকলয়েডকে। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় স্কটল্যান্ড। ২০ ওভারে শেষ পর্যন্ত স্কটিশরা থামে ১৫৭ রানে। নিউজিল্যান্ডের হয়ে চারটি উইকেট নিয়েছেন সোধি। এ ছাড়া স্যান্টনার দুটি এবং একটি করে উইকেট নিয়েছেন লকি ফার্গুসন ও বেন সিয়ার্স।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২২৫ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। দারুণ ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন অ্যালেন। যদিও শূন্য রানেই ফিরতে পারতেন ডানহাতি এই ব্যাটার। নিজের তৃতীয় বলে অ্যালেনের ক্যাচ নিতে পারেননি স্পিনার হামজা তাহির। জীবন পাওয়া অ্যালেন ৩৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি এবং ৫৪ বলে সেঞ্চুরি পেয়েছেন। শেষ দিকে তিন ছক্কা ও দুই চারে ৩০ রানের ইনিংস খেলেন নিশাম। স্কটল্যান্ডের হয়ে একটি করে উইকেট পেয়েছেন হামজা, ক্রিস সোল, মার্ক ওয়াট এবং রিচি বেরিংটন।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.