বিক্ষোভকারীদের দখলে ইরাকের পার্লামেন্ট

বিশাল নিরাপত্তা বাহিনী ছিল। তা সত্ত্বেও ইরাকের পার্লামেন্টের ভিতর ঢুকে পড়লো মোকতাদা আল-সদরের অনুগামী বিক্ষোভকারীরা। মোকতাদা আল-সদর হলেন শিয়া ধর্মীয় নেতা। তার হাজার হাজার সমর্থক পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে পড়েছেন। তাদের প্রধান আপত্তি হলো মোহাম্মেদ আল-সুদানীকে প্রধানমন্ত্রী করা নিয়ে। তবে বিক্ষোভকারীরা যখন পার্লামেন্টে ঢুকে বিক্ষোভ দেখান, তখন সেখানে কোনো পার্লামেন্ট সদস্য ছিলেন না।

বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিতে থাকেন, ‘সুদানী আউট’। কিছু বিক্ষোভকারী পাঁচিলে উঠে পড়েন। কিছু বিক্ষোভকারী পার্লামেন্ট ভবনের ভিতরে ঢুকে চেয়ার-টেবিলে বসে পড়েন।

কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল-কাধিমি বিক্ষোভকারীদের অবিলম্বে পার্লামেন্ট ভবন খালি করে দিতে বলেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, নিরাপত্তা বাহিনী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও বিদেশি দূতাবাসের কোনো ক্ষতি হতে দেবে না।

ইরাকে গত অক্টোবরে নির্বাচনের ফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকে এখনো পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলি কোনো নেতার ব্যাপারে একমত হতে পারেনি। কোনো নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ছাড়াই ইরাক এতদিন ধরে চলছে। আল-সদরের জোটই সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছিল। কিন্তু কুর্দি ও শিয়া পার্লামেন্ট সদস্যরা একমত হতে পারেননি। আল-সদর ও তার সমর্থকরা হলেন শিয়া, কিন্তু তারা ইরানপন্থি শিয়া দলগুলির তীব্র বিরোধী।

আল-সদর তাদের পার্লামেন্ট সদস্যদের পদত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছেন। ৩২৯ সদস্যের পার্লামেন্টে আল-সদরের দলের ৭৩ জন সদস্য ছিল। তাদের ইস্তফার পর ইরানপন্থি ব্লক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। কিন্তু এখন মনে করা হচ্ছে, আল-সদরের সমর্থকরা সহিংস হয়ে উঠতে পারে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, এপি, এএফপি, রয়টার্স

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.