খুলনার ৫ জনের রায় বৃহস্পতিবার

মানবতাবিরোধী অপরাধ

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় খুলনার বটিয়াঘাটার পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার জন্য আগামী বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) নির্ধারণ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মো. মোখলেসুর রহমান বাদল ও প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি। অন্যদিকে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার পালোয়ান ও রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী গাজী এইচএম তামিম।

প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি বলেন, এই মামলায় প্রাথমিকভাবে মোট আট জন আসামি থাকলেও দুই জন মারা গেছেন। ফলে তাদের বাদ দিয়ে বাকি ছয় জনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

মামলার আসামিরা হলো- আমজাদ হোসেন হাওলাদার, সহর আলী সরদার, আতিয়ার রহমান, মোতাছিম বিল্লাহ, কামাল উদ্দিন গোলদার ও নজরুল ইসলাম। আসামিদের মধ্যে নজরুল ইসলাম এখনও পলাতক, তবে তিনিও মারা গেছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। ফলে তাকেও বাদ দিয়ে বাকী পাঁচ জনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করবেন ট্রাইব্যুনাল।

এর আগে ২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর মামলার তদন্ত শুরু করে ২০১৭ সালের ৮ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে সাত ভলিউমের ১ হাজার ২৭ পাতার প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে জমা দেওয়া হয়। এর মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখিত চারটি অপরাধেই অভিযুক্ত হয়েছেন আমজাদ হোসেন হাওলাদার।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কনভেনশন মুসলিম লীগ এবং পরে জামায়াতের সমর্থক ছিলেন। অন্য ছয় আসামিও মুক্তিযুদ্ধকালে কনভেনশন মুসলিম লীগ এবং জামায়াতের সমর্থক ছিলেন।

আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো-

প্রথম অভিযোগ: ১৯৭১ সালের ১০ আগস্ট আমজাদ হোসেন হাওলাদারসহ চার-পাঁচজন রাজাকার বটিয়াঘাটার মাছালিয়া গ্রামের শান্তি লতা মণ্ডলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বিনোদ মণ্ডলকে অবৈধভাবে আটক-নির্যাতন, অপহরণ ও গুলি করে হত্যা করেন।

দ্বিতীয় অভিযোগ: ১৯৭১ সালের ১৫ অক্টোবর বটিয়াঘাটার পূর্বহালিয়া গ্রামের চাপরাশী বাড়িতে হামলা চালিয়ে নিরস্ত্র হরিদাস মজুমদারকে আটক, নির্যাতন ও গুলি করে হত্যা করেন আসামিরা।

তৃতীয় অভিযোগ: মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২১ অক্টোবর হিন্দু সম্প্রদায়কে নিশ্চিহ্ন করতে বটিয়াঘাটার সুখদাড়া গ্রামে হামলা চালিয়ে নিরীহ নিরস্ত্র হিন্দু সম্প্রদায়ের চারজনকে হত্যা, চার-ছয়টি বাড়ির মালামাল লুট এবং অগ্নিসংযোগ করে।

চতুর্থ অভিযোগ: ১৯৭১ এর ২৯ নভেম্বরে এই আসামিরা বটিয়াঘাটার বারোআড়িয়া গ্রামে হামলা চালিয়ে মুক্তিযোদ্ধা জ্যোতিষ মণ্ডল এবং আব্দুল আজিজকে গুলি করে হত্যা করে।

 

অর্থসূচক/এইচডি/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.