ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়জে নানা অনিয়মের অভিযোগ, তদন্ত করবে বিএসইসি

পুঁজিবাজারে এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়জ লিমিটেডের আর্থিক প্রতিবেদনে কোনো অনিয়ম-অসঙ্গতি আছে কি-না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

সূত্র অনুসারে, রোববার (২৪ জুলাই) আলোচিত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে কমিশনের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে ৩০ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

বিএসইসির উপ-পরিচালক মোহাম্মদ রতন মিয়াকে প্রধান করে গঠিত এই কমিটির অন্য দুই সদস্য হচ্ছেন-বিএসইসির সহকারী পরিচালক মোঃ রায়হান উদ্দিন ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সিনিয়র ম্যানেজার সৈয়দ ফয়সাল আব্দুল্লাহ।

প্লাস্টিকের খেলনা উৎপাদনকারী কোম্পানি ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়জ দুই দশক আগে স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বোর্ডে তালিকাভুক্ত হয়েছিল। পরবর্তীতে কোম্পানিটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এটিকে ওভার দ্যা কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটে স্থানান্তর করা হয়। বিএসইসির বর্তমান কমিশন ওটিসি মার্কেট বিলুপ্ত ঘোষণা করার পর কোম্পানিটিকে এসএমই বোর্ডে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু এই বাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর থেকেই অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম। গত বছরের অক্টোবরে এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্তির পর মাত্র দুই মাসে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ২০ টাকা থেকে ১১৫ টাকায় উঠে। কারসাজির মাধ্যমেই শেয়ারের দাম এমন অস্বাভাবিক হারে বাড়ানো হয় বলে বিশ্লেষকদের সন্দেহ।

এদিকে কোম্পানিটির ব্যবসায়িক কার্যক্রম নিয়েও স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে নানা প্রশ্ন রয়েছে। কোম্পানিটির ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুসারে, বর্তমানে কোম্পানিটি প্লাস্টিক হ্যাঙ্গার, ব্যাটারি কন্টেইনার, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্রেটসহ নানা পণ্য উৎপাদন করে থাকে। তবে বাজারে প্রচার আছে, কোম্পানিটির কার্যক্রম বাস্তবে বন্ধ আছে। আর এর আর্থিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা তথ্য-পরিসংখ্যান ও মুনাফার তথ্য অনেকটাই ভুয়া।

নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়জের প্রকৃত অবস্থা খতিয়ে দেখার লক্ষ্যে বিএসইসি আলোচিত তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.