বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থান, অন্য তরুণীকে নিয়ে পালালেন প্রেমিক

স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে ১৯ জুলাই থেকে ছয় দিন ধরে নিপুণ রায় আকাশ নামে এক যুবকের বাড়িতে অবস্থান করছেন প্রেমিকা। এ অবস্থায় এক শিক্ষকের মেয়েকে নিয়ে পালিয়েছেন ওই যুবক।

এমন ঘটনা ঘটেছে নীলফামারী ডোমার উপজেলার নয়ানী বাকডোকরা বাবুপাড়া এলাকায়। এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে ওই এলাকায়।

প্রেমিক নিপুণ রায় আকাশ উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের নয়ানী বাকডোকরা বাবুপাড়ার বাবু ভুপেশ চন্দ্র রায়ের ছেলে। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী।

অবস্থান নেওয়া কলেজছাত্রী দাবি করেন, নীলফামারী সরকারি কলেজে তাদের পরিচয় হয়। তারপর ভালো লাগা থেকে প্রেম হয়। পড়াশোনা ও চাকরির কারণে দুজনে ঢাকায় ছিলেন। সেখানে লোকনাথ মন্দিরে বিয়ে করেন তারা। চাকরি আর পড়াশোনার কারণে দুজনেই গোপন রাখেন বিষয়টি। তবে কিছুদিন ধরে রিপন বাড়িতে এসে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। শেষে নিপনের খোঁজে তিনি এখন তার বাড়িতে অবস্থান নিচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাড়িতে অবস্থান নেওয়া তরুণীর (২১) বাড়ি সদর উপজেলায়। ১৯ জুলাই থেকে প্রেমিক নিপুণের বাড়িতে স্ত্রীর মর্যাদা পাওয়ার দাবিতে অবস্থান নেন তিনি। তবে ছেলের পরিবারের পক্ষ থেকে টাকার বিনিময়ে মেয়েটিকে বাড়ি চলে যেতে বললেও তিনি যাননি।

এদিকে, প্রেমিকাকে বাড়িতে অবস্থানরত রেখে ২৩ জুলাই বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের এক শিক্ষকের মেয়েকে বিয়ে করে এলাকা থেকে সটকে পড়েন নিপুণ।

নিপুণের বর্তমান শ্বশুর বলেন, ছেলেটির বিষয়ে সব জানতে পেরেছি। তবে আমার মেয়ের যে এমন ঘটনা ঘটাবে, বুঝতে পারিনি। শুনেছি তারা বিয়ে করে রংপুরে আছে।

নিপনের বাবা ভুপেশ চন্দ্র রায় বলেন, গত মঙ্গলবার থেকে মেয়েটি আমার বাড়িতে আছে। সে বলছে তার সঙ্গে নিপুণের বিয়ে হয়েছে। অন্যদিকে স্থানীয় এক তরুণীকে সে বিয়ে করেছে বলে শুনছি। তবে মঙ্গলবার থেকেই ছেলের সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ নাই।

বোড়াগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রিমুন বলেন, আমি ঢাকায় ছিলাম। বাড়িতে এসে দুই পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।

ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ নবী বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ এলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.