ইরানে পুতিন-এরদোয়ান ও রাইসির বৈঠক

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর পুতিন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্গত দুই দেশে সফর করেছেন। কিন্তু তার বাইরে এই প্রথম তিনি কোনো দেশে গেলেন। তার এই সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, পশ্চিমা দেশগুলি এখন রাশিয়ার অর্থনীতিকে অচল করে দেয়ার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে তারা মস্কোকে ভাতে মারার চেষ্টা করছে। এই অবস্থায় পুতিন চীন, ইরান এবং ভারতের আরো কাছাকাছি আসার চেষ্টা করছেন।

মাত্র তিনদিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সৌদি আরব সফর করে গেছেন। তারপরই পুতিন তেহরান যাচ্ছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা খামেনেইয়ের সঙ্গে তার পঞ্চম বৈঠক করার জন্য। পুতিনের পররাষ্ট্রনীতি সংক্রান্ত পরামর্শদাতা ইউরি উসাকভ মস্কোতে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মতৈক্য গড়ে তোলাই পুতিনের সফরের উদ্দেশ্য। অধিকাংশ বিষয়েই দুই নেতার অবস্থান এক বা প্রায় এক।

এদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান মঙ্গলবার সকালে তেহরান পৌঁছান। আল-জাজিরা জানাচ্ছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং এরদোয়ানের মধ্যে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হবে। সেই বৈঠকে সিরিয়া এবং ইউক্রেন নিয়ে কথা হবে। এছাড়া আলাদাভাবে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হবে। রাইসি ও পুতিনের মধ্যে আলোচনায় ইরানের পরমাণু চুক্তি গুরুত্ব পাবে।

সিরিয়া নিয়ে রাশিয়া ও ইরানের সঙ্গে তুরস্কের মতভেদ আছে। রাশিয়া ও ইরান সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে সমর্থন করে। তুরস্ক জানিয়েছে, তারা শীঘ্রই উত্তর সিরিয়ার দুইটি শহরে সামরিক অভিযান চালাবে। সেই অভিযানের উদ্দেশ্য হবে সশস্ত্র কুর্দি গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে অভিযান।

ইরান সফরের মধ্য দিয়ে পুতিন একটি বার্তা পাঠাতে চাইছেন। তা হলো, আমেরিকার শত্রু দেশ ইরানের সঙ্গে রাশিয়া এখন সম্পর্ক আরো ভালো করতে চাইছে। সফরের আগে পুতিনের মুখপাত্র পেসকভ বলেছেন, রাশিয়া ও ইরান দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমা দেশগুলির নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে।

তেহরানের কাছেও রাশিয়ার সমর্থন জরুরি। কারণ, আমেরিকা, ইসরায়েল ও একাধিক আরব দেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ভালো নয়। ইরানের এক সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, ‘মস্কো হলো সুপারপাওয়ার। আমাদের এরকমই শক্তিশালী বন্ধু দেশ চাই।’ সূত্র: ডিডাব্লিউ, আল-জাজিরা, রয়টার্স, এএফপি

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.