ট্রাকচাপায় মায়ের মৃত্যু, আইসিইউতে গর্ভ থেকে বেরিয়ে আসা নবজাতক

ময়মনসিংহের ত্রিশালে রাস্তা পারাপারের সময় ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে গর্ভের সন্তান বেরিয়ে এলো এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর। ঘটনাস্থলেই সেই নারী ও তার স্বামী মারা গেছেন। তাদের আড়াই বছর বয়সী আরেক সন্তানও হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যায়।

শনিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে ত্রিশালের পৌর এলাকার দড়িরামপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পার হওয়ার সময় ময়মনসিংহগামী মালবাহী একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। এই দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- ত্রিশাল উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের রায়মনি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম (৩৫), তার স্ত্রী রত্না বেগম (২৬) ও মেয়ে জান্নাত আরা।

এদিকে ট্রাকের চাপায় রত্নার গর্ভে থাকা সন্তান বের হয়ে আসে। নির্মমভাবে জন্ম নেওয়া শিশুটির অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, রত্না আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে গেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার সময় ট্রাকের চাপায় রত্নার গর্ভে থাকা সন্তান বের হয়ে আসে। নবজাতকটি কন্যাশিশু। তাকে উদ্ধার করে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক নবজাতককে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডের বিভাগীয় প্রধান ডাক্তার নজরুল ইসলাম জানান, শিশুটিকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। শিশুটির চিকিৎসায় সব ধরনের ব্যবস্থা এই হাসপাতালেই রয়েছে।

ত্রিশাল থানার ওসি মো. মাইনুদ্দিন জানান, শিশুটিকে সুস্থ করে তোলার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের সার্বক্ষণিক নজর থাকবে।

শিশুটির স্বজন কামরুজ্জামান জানান, এই নবজাতকের বাবা জাহাঙ্গীর আলম ছিলেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক। এভাবে দুর্ঘটনায় একই পরিবারে তিন জন মারা গেলো— এলাকার কেউ বিষয়টি মেনে নিতে পারছে না। তিন জনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দুর্ঘটনাস্থলে জন্ম নেওয়া নবজাতক শিশুটি যেন বেঁচে থাকে এলাকার সবাই তার জন্য দোয়া করছে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.