ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রামে জায়গা করে নিলো আড়াই মাসের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। আইপিএল জায়গা পেলেও বিপাকে পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি লিগ।
আইপিএলের সময় বিশ্ব ক্রিকেটে কোনো সিরিজ চলবে না। ২০২২ সালে দশ দলের আইপিএলে মোট ৭৪টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৫ ও ২০২৬ সালে হবে ৮৪টি ম্যাচ। ২০২৭ সালে অনুষ্ঠিত হবে ৯৪টি ম্যাচ। ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর আইপিএলে ৬০টি করে ম্যাচ হতো।
এতো দিন বিগব্যাশ লিগ (বিবিএল) চলাকালে আন্তর্জাতিক দ্বিপাক্ষিক সিরিজ থাকতো অস্ট্রেলিয়ার। ২০২৩ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত এই সময়টায় বিবিএল চলাকালে সাদা বলের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা হচ্ছে না অস্ট্রেলিয়ার।
আন্তর্জাতিক সিরিজ থাকার কারণে দ্যা হান্ড্রেডের প্রথম আসরের কয়েকটি ম্যাচে খেলা হয়নি বেন স্টোকস, জস বাটলার, জো রুটদের মতো ক্রিকেটারদের। এবার আর তেমন হচ্ছে না। দ্যা হান্ড্রেডে খেলার জন্যে ২০২৩ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত প্রতি জুলাই-আগস্টে অন্তত একটি করে বিরতি পাবে ইংল্যান্ডের সাদা বলের ক্রিকেটাররা।
এদিকে ২০২৩ সাল থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নতুন একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ। বিভিন্ন দেশকে খেলার সূচি করে দিতে গিয়ে এফটিপির গ্যাঁড়াকলে পরে এই লিগের জন্য মাত্র ১৪ দিন সময় পাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
নতুন এফটিপি অনুযায়ী, ২০২৫ এবং ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক সিরিজ আছে দক্ষিণ আফ্রিকার। তবে ২০২৩-২৪ মৌসুমে ভারত সিরিজের পর ডিসেম্বরের পর থেকে মাত্র ১৪-১৫ দিনের বিরতি আছে দেশটির। এ ছাড়া ২০২৬-২৭ মৌসুমে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে থাকবে ইংল্যান্ড। এই সময়ে আইসিসির সূচিতে এই সিরিজটি থাকায় মাঠে নাও গড়াতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট লিগ। এদিকে লিগ চালু রাখতে হলে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বাদ দিতে হবে তাদের।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.