ঝুঁকিপূর্ণ শেয়ার পুঁজিবাজার থেকে সরিয়ে নেওয়ায় রুপিতে রেকর্ড পতন

বৈশ্বিক মহামন্দার মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা তুলনামূলকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ শেয়ার পুঁজিবাজার থেকে সরিয়ে নেওয়ায় রেকর্ড পতন চলছে ভারতীয় মুদ্রা রুপিতে। এ নিয়ে টানা ১১ সপ্তাহ রুপির মান কমেছে।  শুক্রবার (১৫ জুলাই) রুপির মান সর্বনিম্ন তলানিতে এসে পৌঁছায়। খবর এনডিটিভির

ডলারের বিপরীতে শুক্রবার (১৫ জুলাই) ভারতীয় মুদ্রার লেনদেন হয় ৭৯.৭০১ রুপিতে। আর বৃহস্পতিবারে (১৪ জুলাই) ৭৯.৮৯৫ রুপিতে স্থির হয়। এ তুলনায় রুপি আংশিক কমেছে। এর আগে ডলারের দর ভারী হওয়ায় রুপির রেকর্ড পতন হয়। এদিন ৭৯.৯৬ রুপিতে আন্তর্জাতিক লেনদেন হয়। তবে আজ (১৬ জুলাই) ডলারের বিপরীতে দাঁড়িয়েছে ৭৯.৭২০ রুপিতে। সূত্র: ইউকে এক্সচেঞ্জ রেইট

এ প্রসঙ্গে এক প্রাইভেট ব্যাংকের কর্মকর্তা বলেন, আমরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছি। ভেবেছি রুপির এই রেকর্ড পতন বছর শেষে হবে। তবে রুপির পতন আরো হতে পারত যদি দেশে বৈদেশিক রেমিট্যান্স না আসত।

পতন ঠেকাতে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফরেন-এক্সচেঞ্জ মার্কেটে সময়মতো পদক্ষেপ নেওয়ায় রুপির দর ৮০-এর কাছাকাছি ঘুরপাক খাচ্ছে। বর্তমানে বিশ্বের সকল দেশ মুদ্রানীতি কঠোর করার পর থেকে অকল্পনীয়ভাবে ডলারের দাম বেড়েছে।

এদিকে রুপির স্থিতিশীলতা প্রসঙ্গে এক বাজারসূত্র জানায়, দুই বছর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বৈদেশিক রিজার্ভ গঠনে বৃহত্তর বাহ্যিক বাফার সিস্টেম (অর্থ অবমূল্যায়নে এক ধরনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা) গড়ে তোলে। তাদের এই সঠিক ব্যবস্থাপনার কারণেই আজকের অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে রুপির মান এখনো টিকে আছে। তবে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অর্থমন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি। খবরে টাইমস অব ইন্ডিয়া

অর্থসূচক/এইচডি/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.