ঋণখেলাপির শীর্ষ ২৫ দেশের তালিকায় নেই বাংলাদেশ

ঋণখেলাপির শীর্ষ ২৫ টি দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নাম না থাকলেও সেখানের শীর্ষ ৪র্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তান। আর শীর্ষে রয়েছে এল সালভাদর।

বিশ্বের সবচাইতে দ্রুততম অনলাইন সংবাদ প্রকাশক, ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্ট ‘যেসব দেশ রয়েছে সর্বোচ্চ ঋণখেলাপির ঝুঁকি-২০২২’ শিরোনামে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেই প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে (মে-২০২২) দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে প্রথমবারের মতো ঋণখেলাপি হয় শ্রীলঙ্কা। দেশের অর্থনীতি সামাল দিতে শ্রীলঙ্কা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে ঋণ নেয়। এই ঋণের সুদ বাবদ ৭৮ মিলিয়ন ডলার অর্থ পরিশোধের জন্য দেশটির সরকারকে ৩০ দিনের সময় দেওয়া হয়। কিন্তু যথাসময়ে ঋণের সুদ পরিশোধে ব্যর্থ হয় শ্রীলঙ্কা।

এদিকে রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের চলমান দ্বন্দ্বে ঋণখেলাপির তালিকায় শীর্ষে আটে রয়েছে ইউক্রেন। দেশটির সরকারি বন্ড বিক্রি করতে না পারা, সুদের ব্যয় ও সরকারি ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধির কারণে অষ্ঠম স্থানে রয়েছে ইউক্রেন । সরকারি বন্ডগুলো অবিক্রীত থাকার কারণে সেগুলোর দাম কমেছে প্রায় ৭০ শতাংশ। এর মানে প্রতিটা বন্ডের অভিহিত মূল্য যদি ১শ টাকা ধরা হয়, তাহলে সেগুলো বিক্রি করা যাবে মাত্র ৩০ টাকায়।

অপরদিকে এল সালভাদর সম্ভাব্য ঋণখেলাপি দেশের তালিকায় শীর্ষে থাকার পিছনে রয়েছে সরকারি ঋণ ও ঋণের উচ্চমাত্রায় সুদ হার। দেশটির মোট ঋণের পরিমাণ মোট জিডিপি’র ৮২.৬ শতাংশ। আর বাৎসরিক মোট জিডিপির ৪.৯ শতাংশ সুদ পরিশোধ করতে হয় দেশটিকে। এল সালভাদরের বাৎসরিক ঋণের সুদ পরিশোধের পরিমাণ যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তিনগুণ, ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাৎসরিক ঋণের সুদের হার ছিল ১.৬ শতাংশ।

ঋণখেলাপির শীর্ষে এল সালভাদর থাকার পিছনে আরেকটি উল্লেখযোগ্য কারণ রয়েছে, সেটি হল ক্রিপ্টোকারেন্সি। গত বছর (সেপ্টেম্বর-২০২১) এল সালভাদর একমাত্র দেশ হিসেবে ডিজিটাল মুদ্রা, বিটকয়েনকে দেশে বৈধভাবে স্বীকৃতি দেয়। চলতি বছরের শুরুতে দেশটির এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। কিন্তু আইএমএফের কথার কোনো পাত্তাই দেয়নি দেশটি। বছর ব্যবধানে ধপাস করে বিটকয়েনের মূল্য হ্রাস পেয়েছে ৫৬ শতাংশ।

উল্লেখ্য, এই শীর্ষ ঋণখেলাপির তালিকা প্রণয়ন করেছে ব্লুমবার্গ। ব্লুমবার্গ চারটি নির্দেশক বিবেচনায় নিয়ে এ জরিপটি করেছে। এক. সরকারি বন্ড, দুই. ৫ বছর মেয়াদি ডিফল্ট সোয়াপ, তিন. বাৎসরিক সুদের খরচ ও চার. সরকার গৃহীত ঋণ। এ হিসেবে পাকিস্তানের বর্তমানে সরকার কর্তৃক গৃহীত ঋণের পরিমাণ দেশটির মোট জিডিপির ৭১.৩ শতাংশ। আর পাকিস্তানকে প্রতি বছর গৃহীত ঋণের সুদ পরিশোধ করতে হয় মোট জিডিপির ৪.৮ শতাংশ।

অর্থসূচক/এইচডি/এমআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.