বিশ্বে করোনায় মৃত্যু বেড়েছে, শনাক্ত সাড়ে ৭ লাখ

চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেড়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৩৫০ জনের বেশি মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা রয়েছে সাড়ে ৭ লাখের ওপরেই।

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ফ্রান্সে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ব্রাজিল। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, তাইওয়ান, মেক্সিকো, ইতালি ও ইসরায়েল। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৫ কোটি ৭২ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৩ লাখ ৬৬ হাজার।

বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৩৬১ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় দেড়শো। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৩ লাখ ৬৬ হাজার ২৬৫ জনে।

একই সময় ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ লাখ ৫২ হাজার ৭৬৮ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ১০ হাজারের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫ কোটি ৭২ লাখ ৩০ হাজার ২৬৭ জনে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ফ্রান্সে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৫৪ হাজার ৬১৫ জন এবং মারা গেছেন ৫৩ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ১৮ লাখ ১৩ হাজার ৩৪২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮৫৪ জন মারা গেছেন।

অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ব্রাজিল। লাতিন আমেরিকার এই দেশটি করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৩৫ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৭৬ হাজার ৮৫০ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ২৬ লাখ ৮৭ হাজার ৬৮০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৮২৯ জনের।

যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮০ হাজার ৯৮৫ জন এবং মারা গেছেন ২৯৩ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ৯৯ লাখ ১৪ হাজার ৬৪৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৪৪ হাজার ৫৩০ জন মারা গেছেন।

ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৭ হাজার ৭৮৬ জন এবং মারা গেছেন ৭২ জন। মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৯০ লাখ ৪৮ হাজার ৭৮৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৬৮ হাজার ৭৭০ জন মারা গেছেন। একইসময়ে কানাডায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৮৩৩ জন এবং মারা গেছেন ৩৮ জন।

তাইওয়ানে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯৫ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৩৪ হাজার ৫৭৭ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩৯ লাখ ৬৪ হাজার ১৮৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজার ২২৩ জনের। একইসময়ে জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩২ হাজার ৯০৬ জন এবং মারা গেছেন ১৬ জন।

রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৪ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৩ হাজার ১৫০ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮৪ লাখ ৪৮ হাজার ৪৫১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮১ হাজার ৩৯৮ জনের। একইসময়ে ইসরায়েলে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৮৪৯ জন এবং মারা গেছেন ৫৮ জন।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩ হাজার ৪৫৭ জন এবং মারা গেছেন ৪৪ জন। একইসময়ে থাইল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৪২৮ জন এবং মারা গেছেন ২২ জন। চিলিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ২৩২ জন এবং মারা গেছেন ১৮ জন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.