ভারতের স্বপ্নকে দুঃস্বপ্ন বানাচ্ছেন বেয়ারস্টো-রুট

এজবাস্টন টেস্ট জিতলেই ইংল্যান্ডের মাটিতে ৩-১ ব্যবধানে প্রথমবারের মতো সিরিজ জেতা হয়ে যাবে ভারতের। চেষ্টার কমতি রাখেনি জসপ্রীত বুমরাহর দল। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪৫ রান করে ইংলিশদের তারা লক্ষ্য দিয়েছে ৩৭৮ রানের। কিন্তু সেই লক্ষ্যকে রীতিমতো মামুলি বানিয়ে ছেড়েছেন জনি বেয়ারস্টো-জো রুটরা। চতুর্থ দিন শেষে এই দুজন ও অ্যালেক্স লিসের হাফ সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ড করেছে তিন উইকেটে ২৫৯ রান। রেকর্ড গড়ে ম্যাচ জিতে সিরিজ সমতায় শেষ করতে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ১১৯ রান, হাতে সাত উইকেট।

১২৫ রানে তিন উইকেট নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করে ভারত। এ দিন দেখেশুনেই শুরু করেন চেতেশ্বর পূজারা এবং ঋষভ পান্ত। তবে তাদের দুর্গ বেশীক্ষণ টিকতে দেননি স্টুয়ার্ট ব্রড। ১৬৮ বলে ৬৬ রান করা পূজারাকে ফিরিয়েছেন তিনি। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে লিসকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। তারপর পান্তের সঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন শ্রেয়াস আইয়ার। কিন্তু বেশীক্ষণ থাকতে পারেননি তিনিও। পান্ত-আইয়ারের ৩৭ রানের জুটি ভাঙেন ম্যাথু পটস।

পটসের বলে পুল শট খেলতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ তুলে দেন আইয়ার। ১৯ রানে বিদায় নেন তিনি। এর দুই ওভার পর ফিরে যান হাফ সেঞ্চুরি হাঁকানো পান্তও। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করে ভারতকে পথ দেখানো পান্তের ব্যাটে এ দিন আসে ৫৭ রান। ৮৬ বলে খেলা এই ইনিংসে ছিল আটটি চারের মার। এরপর থেকে নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে ভারত। শেষ লগ্নে ভারতের আগের ইনিংসের আরেক সেঞ্চুরিয়ান রবীন্দ্র জাদেজার ব্যাটে আসে ২৩ রান। মোহাম্মদ শামি করেন ১৩ রান।

ইংল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে ৩৩ রান খরচায় তিন উইকেট নেন অধিনায়ক বেন স্টোকস। দুটি করে উইকেট নেন ব্রড ও পটস। জিততে হলে এজবাস্টনের ১২০ বছরের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি রান তাড়ার রেকর্ড গড়তে হবে ইংল্যান্ডকে। এমন দিনে শতরানের জুটি গড়লেন লম্বা সময় ধরে ইনিংস সূচনায় ভুগতে থাকা ইংলিশ ওপেনাররা।

লিস ছিলেন কিছুটা আগ্রাসী, অপরদিকে জ্যাক ক্রলি খেলেছেন রয়ে সয়ে। ব্যক্তিগত ৪৬ রানে বুমরাহর বল লিভ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফেরেন ক্রলি। তাতেই এই জুটি ভাঙে ১০৭ রানে। এর এক ওভার পর আবারও আঘাত হানেন বুমরাহ। ভারতের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের এবারের শিকার অলি পোপ। রানের খাতা খোলার আগেই উইকেটরক্ষক পান্তকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন পোপ। পরের ওভারে আবারও সাফল্যের মুখ দেখে ভারত।

এবার লিসকে রানআউটের ফাঁদে ফেলেন জাদেজা ও শামি। ৬৫ বল খেলে আটটি চারে ৫৬ রান করেন লিস। ১০৯ রানে তিন উইকেট হারানো ইংল্যান্ডকে বিপদ থেকে টেনে তোলেন বেয়ারস্টো রুটরা। উইকেট থেকে এ দিন একটুও সুবিধা পাননি ভারতের বোলাররা। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কিছুটা ওয়ানডে মেজাজে খেলতে থাকেন রুট এবং বেয়ারস্টো। দুজনেই পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরির দেখা। রুট ১১২ বলে ৯টি চারের সাহায্যে ৭৬ রান করে ব্যাটিংয়ে আছেন। অপরদিকে ৮৭ বলে আটটি চার ও একটি ছক্কায় ৭২ রান করে ব্যাটিংয়ে আছেন অবিশ্বাস্য ফর্মে থাকা বেয়ারস্টো।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.