নড়াইলে অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত: ৪ আসামি রিমান্ডে

নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে লাঞ্ছনার ঘটনায় চারজনকে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার (০৩ জুলাই) নড়াইল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক আমাতুল মোর্শেদা তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সঞ্জীব বসু।

অভিযুক্তরা হলেন- রহমতুল্লাহ বিশ্বাস রনি (২২), মোবাইল ফোনের মেকানিক শাওন (২৮), অটোরিকশার চালক রিমন (২২) এবং মাদরাসা শিক্ষক মনিরুল ইসলাম (২৭)।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (বর্তমান ওসি) মাহমুদুর রহমান বলেন, মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য অভিযুক্ত চারজনের পাঁচ দিন করে রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড সোমবার থেকে কার্যকর হবে।

প্রসঙ্গত, সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী রাহুল দেব রায় গত ১৭ জুন রাতে তার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে ভারতের বিতর্কিত বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মাকে নিয়ে ইতিবাচক পোস্ট করেন। ১৮ জুন কলেজের অন্য শিক্ষার্থীরা বিষয়টি জানতে পেরে তাকে পোস্টটি মুছে ফেলার অনুরোধ করেন। রাহুল তার পোস্টটি না মুছে অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।

শিক্ষার্থীরা বিষয়টি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে জানান। এক পর্যায়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কলেজের শিক্ষকদের পরামর্শে রাহুলকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এরই মধ্যে শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। তারা কলেজ চত্বরে থাকা শিক্ষকদের তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিপেটাসহ কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এ সময় অন্তত ১০ জন পুলিশ-ছাত্র-জনতা আহত হন।

এদিকে অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ এনে বিক্ষুব্ধ জনতা ঘটনার দিন ১৮ জুন বিকেলে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস এবং শিক্ষার্থী রাহুল দেব রায়কে গলায় জুতার মালা পরিয়ে প্রতিবাদ জানান। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দোষীদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.