লন্ডনের ‘রোসপা গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’ পেলো ওয়ালটন

লন্ডনভিত্তিক ‘রোসপা হেলথ অ্যান্ড সেফটি গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’পেয়েছে বাংলাদেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড, ওয়ালটন।

২৩ জুন লন্ডনের চেশিয়ারে এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এই এ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয় ওয়ালটনকে। উন্নত কর্ম-পরিবেশ, পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা শতভাগ নিশ্চিত করায় লন্ডনের দ্য রয়েল সোসাইটি ফর প্রিভেনশন অফ এক্সিডেন্ট বা রোসপা শীর্ষক ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এই স্বীকৃতি পেয়েছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি।

ওয়ালটনের পক্ষে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন এনভায়রনমেন্ট, হেলথ অ্যান্ড সেফটি (ইএইচএস) বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ লিটন মোল্ল্যা। গোল্ড, সিলভার ও ব্রোঞ্জ এই তিন ক্যাটাগরিতে পুরস্কারটি প্রদান করেন ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ওয়ালটন ‘গোল্ড’ ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার পায়।

ওয়ালটন ইএইচএস বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী লিটন মোল্ল্যা বলেন, ওয়ালটনের উন্নত কর্মপরিবেশ, পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এক বিশাল অর্জন। এই পুরস্কার দেশি-বিদেশি ক্রেতাদের আস্থা অর্জনে নতুন এক মাত্রা যোগ করলো। এই সম্মাননা ওয়ালটনের ‘ভিশন-২০৩০’ অর্জনের ক্ষেত্রে বিশাল ভূমিকা রাখবে।

ওয়ালটনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর তানভীর আঞ্জুম বলেন, উচ্চমানের পণ্য উৎপাদনের পাশাপাশি পরিবেশ, পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতি আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আসছি। যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি)সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। এসডিজির ৩, ৮ ও ৯ নাম্বার লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সকলের জন্য সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ নিশ্চিতকরণ, পূর্ণাঙ্গ ও উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান, শোভন কর্মসুযোগ সৃষ্টি এবং স্থিতিশীল, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। সেই সঙ্গে অভিঘাতসহনশীল অবকাঠামো নির্মাণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই শিল্পয়ানের প্রবর্ধন এবং উদ্ভাবনার প্রসারণকল্পে আমরা কাজ করছি। এরই স্বীকৃতিস্বরূপ ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে রোসপা অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে ওয়ালটন।

তিনি বলেন, মর্যাদাকর এই পুরস্কার ‘বেটার বাংলাদেশ টুমরো’ শীর্ষক উদ্যেগের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ওয়ালটন পরিবারকে আরো অনুপ্রাণিত করবে।

উল্লেখ্য, ‘রোসপা হেলথ অ্যান্ড সেফটি গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’ হলো বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এবং স্বীকৃত স্কিমগুলির মধ্যে একটি। এই অ্যাওয়ার্ডের জন্য প্রতি বছর প্রায় ৫০টি দেশ থেকে ২ হাজার কোম্পানি নাম এন্ট্রি করে। এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ৭ মিলিয়নেরও বেশি এমপ্লয়ি।

অর্থসূচক/এইচডি/এমআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.