গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধ সম্ভব নয়: ইভ্যালি চেয়ারম্যান

চলতি জুলাই মাসের শেষে আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির বর্তমান আর্থিক অবস্থা পর্যালোচনা করে দায়-দেনা ও সম্পদের নিরীক্ষা প্রতিবেদন (অডিট রিপোর্ট) তৈরি করে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।

শুক্রবার (১ জুলাই) বিকেলে ধানমন্ডির ইভ্যালি কার্যালয়ে এ তথ্য জানান ইভ্যালির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।

তিনি বলেন, এই মাসের শেষে অডিটররা অডিট রিপোর্ট দিতে পারবেন বলে আমাদের কথা দিয়েছেন। হুদা বাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোম্পানিকে অডিট প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা নিয়োগ দিয়েছি। এটা যখন শেষ হবে। হাইকোর্টের কাছে আমরাও নিষ্কৃতি চাইবো।

সাবেক এই বিচারপতি বলেন, সাভারে ইভ্যালির দুটো গোডাউন আছে। সেখানে আমাদের ইনভেন্ট্রি করতে হয়েছে। একটা হলো পিঙ্ক সিটিতে। সেখানে দুই হাজারে ৬৫৯টি আইটেম রয়েছে। পণ্যগুলোর বাজারদর কমপেয়ার করে দেখা গেছে, সেখানে প্রায় ১৬ কোটি টাকার পণ্য আছে। বলিয়াপুরের আরেকটা গোডাউন আছে। সেখানে পাওয়া গেছে, এক হাজার ৭৩৬টি আইটেম। বাজারদর কমপেয়ার করে দেখেছি সেখানে প্রায় নয় কোটি টাকার পণ্য আছে। প্রায় ২৫ কোটি টাকার জিনিস দুটো গোডাউনে রয়েছে। এছাড়া নয়টি কাভার্ডভ্যান ও পাঁচটি গাড়ি আছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে ইভ্যালির যে অর্থের তথ্য পাওয়া গেছে এবং ব্যাংকে যে টাকা আছে, তা দিয়ে গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধ সম্ভব নয়।

ইভ্যালির কাছে মার্চেন্ট ও ব্যবসায়ীরা টাকা পায় জানিয়ে শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, ইভ্যালির সার্ভার সচল করার চেষ্টা করা হয়েছে। ইভ্যালির গ্রাহকদের টাকা এক পাসওয়ার্ডেই আটকে আছে। বারবার ধরনা দিয়েও ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেলের কাছ থেকে পাসওয়ার্ড উদ্ধার করা যায়নি। রাসেল জানিয়েছেন- কোথায় তার ডাইরি আছে। সে পাসওয়ার্ড দিতে পারছে না।

ইভ্যালির চেয়ারম্যান বলেন, মূল সার্ভার সচল না হলে গেটওয়েতে থাকা ২৫ কোটি টাকা ছাড় করবে না ব্যাংকগুলো। পাওনাদারদের তথ্য না পাওয়ায় ২৫ কোটি টাকার পণ্য থাকলেও তা দেওয়া যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, ইভ্যালির শেয়ার হস্তান্তর করতে হলে পরিচালনা বোর্ডের কাছে আসল কাগজপত্র জমা দিতে হবে। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী বর্তমান বোর্ড কাজ করে যাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বোর্ডের সদস্য সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল আহসান, মাহবুবুল করিম, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফখরুদ্দিন আহম্মেদ, আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.