ন্যাটোয় সুইডেন-ফিনল্যান্ডের যোগদান মানলেন এরদোয়ান

সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের জন্য মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো সামরিক জোটে যোগ দেওয়ার পথ খুলে গেছে। ন্যাটো জোটে এ দুই দেশের যোগ দেওয়ার বিরুদ্ধে তুরস্ক তার আপত্তি তুলে নেওয়ার পর এই সুযোগ সৃষ্টি হলো।

মাদ্রিদে ন্যাটোর আনুষ্ঠানিক বৈঠক শুরুর আগেই ঐতিহাসিক বৈঠকে বসেছিলেন তুরস্ক, ফিনল্যান্ড, সুইডেনের রাষ্ট্রপ্রধান এবং ন্যাটোর প্রধান। দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্তো প্রথম বিবৃতি প্রকাশ করেন। তিনি জানান, ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের ন্যাটোয় যোগদানের রাস্তা খুলে গেছে। দীর্ঘ বৈঠকের পর তুরস্ক সবুজ সংকেত দিয়েছে।

সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন বলেছেন, এটা ন্যাটোর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ।

অন্যদিকে, তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, তুরস্কের দাবিগুলি মেনে নেওয়া হয়েছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে। তুরস্ক বিষয়টিকে তাদের জয় হিসেবে দেখছে।

জোটের নিয়ম অনুযায়ী, সব সদস্যের সম্মতি ছাড়া নতুন কোনো দেশ ন্যাটোর সদস্য হতে পারবে না। সুইডেন ও ফিনল্যান্ড যখন ন্যাটোর সদস্য হওয়ার আনুষ্ঠানিক আবেদন করেছিল তখন তুরস্ক তার বিরোধিতা করে। ফলে তাদের সদস্য হওয়া অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তুরস্ক তার অবস্থান থেকে সরে এসেছে।

তুরস্ক বলে আসছিল- সুইডেন ও ফিনল্যান্ড কুর্দি গেরিলাদের আশ্রয় দিচ্ছে। তবে তুরস্কের উদ্বেগকে প্রাধান্য দিয়ে তিন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা একটি চুক্তিতে সই করেছেন। ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গও বলেছেন, সন্দেহভাজন কুর্দি যোদ্ধাদের প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে পদক্ষেপ আরও জোরালো করার ব্যাপারে রাজি হয়েছে সুইডেন। সেই সঙ্গে তুরস্কের কাছে অস্ত্র বিক্রির ওপর বিধিনিষেধ তুলে নিতেও সম্মত হয়েছে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড।

এদিনি স্পেনের রাজসভায় ন্যাটো সদস্যদের নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু বৈঠক দীর্ঘায়িত হওয়ায় তুরস্ক, সুইডেন, ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রপ্রধানরা তাতে যোগ দিতে পারেননি।

এদিকে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন ন্যাটোতে যোগ দেয়ার বিরোধিতা করেছে দেশ দুটির প্রতিবেশি রাশিয়া। ন্যাটো ক্রমাগত রাশিয়ার দিকে সম্প্রসারণ করতে চাইছে -এমন দাবি তুলে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। অভিযান শুরুর পর সুইডেন ও ফিনল্যান্ড ন্যাটোর সদস্য হওয়ার আবেদন করে এবং তারা এখন সদস্য হতে চলেছে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, পার্সটুডে, রয়টার্স, এপি, এএফপি

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.