শ্রীলঙ্কায় জ্বালানির দাম ৮৩৫ ভাগ বাড়ানোর প্রস্তাব

জ্বালানির মজুদ সাবধানে খরচ করতে দুই সপ্তাহের জন্য কঠোর নিয়ম চালু করেছে শ্রীলঙ্কা৷ এই সময়ে শুধু জরুরি পরিষেবার জন্য সীমিত পরিমানে জ্বালানি কেনা যাবে৷ জ্বালানির খরচ এড়াতে সব স্কুল বন্ধ থাকবে এই দুই সপ্তাহ৷

এক বিবৃতিতে শ্রীলঙ্কা সরকারের মুখপাত্র বান্দুলা গুণাবর্দনা বলেন, সোমবার মাঝরাত থেকে স্বাস্থ্য বিভাগের মতো জরুরি খাত ছাড়া অন্য কোনো খাতে জ্বালানি বিক্রি করা হবে না৷ ভয়ঙ্কর অর্থনৈতিক সংকটে পড়ায় সামান্য যেটুকু জ্বালানি রয়েছে তা সংরক্ষণ করার স্বার্থেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার৷

জ্বালানি সংকটের কারণে দুই কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে সম্ভব হলে সবাইকে আপাতত ঘর থেকে কাজ করতে বলেছে সরকার৷ পাশাপাশি দেশের সব স্কুল দু সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখারও ঘোষণা দেয়া হয়েছে৷

নিত্য প্রয়োজনীয় সব দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে শ্রীলঙ্কার অধিকাংশ নাগরিকই এখন বিপর্যস্ত৷ তার ওপর চলতি বছরের প্রথম চার মাসে জ্বালানি খাতে মোট ৬৫ বিলিয়ন রুপি (১৮৫ মিলিয়ন ডলার/১৭১ মিলিয়ন ইউরো)-র ক্ষতির কথা উল্লেখ করে বড় রকমের ভর্তুকি দিয়ে আসা জ্বালানির দাম শতকরা ৮৩৫ ভাগ বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে সিলোন ইলেক্ট্রিসিটি বোর্ড (সিইবি)৷

তবে রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সংস্থার এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করে পাবলিক ইউটিলিটিজ কমিশন অব শ্রীলঙ্কার চেয়ারম্যান জনক রত্নায়েকে বলেছেন, এই হারে দাম বাড়ালে অধিকাংশ ভোক্তাই তা কিনতে পারবে না৷ তাই ভর্তুকি বাড়িয়ে জ্বালানির মূল্য সিইবি-র প্রস্তাবের অর্ধেকেরও কম বৃদ্ধি করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি৷

এদিকে নিয়ন্ত্রিত বিক্রয় এবং মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনেও সংকট নিরসনের চেষ্টা করছে শ্রীলঙ্কা সরকার৷ ইতিমধ্যে দুজন মন্ত্রীকে রাশিয়ায় পাঠানো হয়েছে৷ শ্রীলঙ্কার জ্বালানি মন্ত্রী কাঞ্চনা বিজেসেকারা মনে করেন, রাশিয়া সরকার বা রাশিয়ার কোনো খামার থেকে তেল কেনা আমাদের (শ্রীলঙ্কা) জন্য বেশ সুবিধাজনক৷ সূত্র: ডিডাব্লিউ, এএফপি, রয়টার্স, এপি

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.