মুহূর্তেই পদ্মা সেতু পার হলেন প্রধানমন্ত্রী

বহুল প্রত্যাশিত ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু উন্মুক্ত হয়েছে। যা রাজধানী ঢাকা এবং অন্যান্য বড় শহরের সাথে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার সড়ক যোগাযোগে ব্যাপক অগ্রগতি বয়ে আনবে। এদিকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের প্রথম যাত্রী হিসেবে টোল দিয়ে মুহূর্তেই পদ্মা পাড়ি দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (২৫ জুন) সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে সেতুর উদ্বোধনী ভাষণ দিতে মঞ্চে আসেন প্রধানমন্ত্রী। ভাষণ শেষে স্মারক ডাকটিকিট, স্যুভেনির শিট, উদ্বোধন খাম, সিলমোহর ও ১০০ টাকার স্মারক নোট উদ্বোধন করেন তিনি। এরপর গাড়িবহর নিয়ে ১১টা ৫৫ মিনিটে টোল প্লাজায় টোল প্রদান করেন তিনি। পরে সেখানে তিনি নিজ হাতে টোল প্রদান শেষে তার গাড়ি বহর নিয়ে সেতু দিয়ে যাত্রা শুরু করেন। এরপর মুহূর্তেই পদ্মা পাড়ি দিলেন প্রধানমন্ত্রী ।

বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ওপারে শরিয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে ১২টা ৩৬ মিনিটে আরেকটি ফলক মঞ্চে যান তিনি। সেখানে দ্বিতীয় দফায় মোনাজাতে অংশ নেন। এরপর তিনি মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় অংশ নেবেন। পথিমধ্যে সেতুতে নেমে তিনি বিমান বাহিনীর মনোজ্ঞ প্রদর্শনী উপভোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় যাত্রাসঙ্গী হিসেবে তার সঙ্গে রওনা দেন মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এর আগে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে সমাবেশস্থলে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রায় সাড়ে তিন হাজার অতিথিকে মাওয়া প্রান্তে সুধী সমাবেশের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেতুর টোল প্লাজার কিছুটা আগে এক পাশে অস্থায়ী প্যান্ডেলে আয়োজন করা হয় সমাবেশের। এতে সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সমাবেশে ভাষণ শেষে স্মারক ডাকটিকিট, স্যুভেনির শিট, উদ্বোধন খাম, সিলমোহর ও ১০০ টাকার স্মারক নোট উদ্বোধন করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, দেশের দীর্ঘতম এই সেতুর দাফতরিক নাম ‘পদ্মা সেতু’। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু রাজধানীর সঙ্গে মেলবন্ধন সৃষ্টি করলো দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলাকে। দ্বিতল দেশের দীর্ঘতম এই সেতুতে গাড়ি ও রেল দুটোই চলবে। সেতু নির্মিত হয়েছে কংক্রিট আর স্টিল দিয়ে। সেতুতে থাকছে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ পরিবহন সুবিধা।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.