প্রথম যাত্রী হিসেবে পদ্মা সেতুর টোল দিলেন প্রধানমন্ত্রী

বহুল প্রত্যাশিত ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু উন্মুক্ত হয়েছে। যা রাজধানী ঢাকা এবং অন্যান্য বড় শহরের সাথে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার সড়ক যোগাযোগে ব্যাপক অগ্রগতি বয়ে আনবে। এদিকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের প্রথম যাত্রী হিসেবে টোল দিয়ে পদ্মা সেতুতে যাত্রা শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (২৫ জুন) সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে সেতুর উদ্বোধনী ভাষণ দিতে মঞ্চে আসেন প্রধানমন্ত্রী। ভাষণ শেষে স্মারক ডাকটিকিট, স্যুভেনির শিট, উদ্বোধন খাম, সিলমোহর ও ১০০ টাকার স্মারক নোট উদ্বোধন করেন তিনি। এরপর গাড়িবহর নিয়ে ১১টা ৫৫ মিনিটে টোল প্লাজায় টোল প্রদান করেন তিনি। পরে সেখানে তিনি নিজ হাতে টোল প্রদান শেষে তার গাড়ি বহর নিয়ে সেতু দিয়ে যাত্রা শুরু করেন। এরপর ১১টা ৫৯ মিনিটে সেতুর ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় যাত্রাসঙ্গী হিসেবে তার সঙ্গে রওনা দেন মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১৭ জুন পরীক্ষামূলক টোল দিয়ে বেশ কয়েকটি গাড়ি পদ্মা সেতু পার হয়। টোল প্রদান শেষে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী মঞ্চে যান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্বোধনী চত্বরের নন্দনশৈলীর বর্ণনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। পরে তিনি মোনাজাত পাঠ করেন। পরে সুইচ চেপে পদ্মা সেতুর ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে উন্মোচন হলো দেশের সবচেয়ে বড় এই স্থাপনার। এ সময় ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ বলে স্লোগান দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্লোগানের তার সঙ্গে কণ্ঠ মেলান অভ্যাগত অতিথি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও আওয়ামী লীগের নেতারা।

দেশের দীর্ঘতম এই সেতুর দাফতরিক নাম ‘পদ্মা সেতু’। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু রাজধানীর সঙ্গে মেলবন্ধন সৃষ্টি করলো দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলাকে। দ্বিতল দেশের দীর্ঘতম এই সেতুতে গাড়ি ও রেল দুটোই চলবে। সেতু নির্মিত হয়েছে কংক্রিট আর স্টিল দিয়ে। সেতুতে থাকছে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ পরিবহন সুবিধা। মুন্সীগঞ্জ জেলার মাওয়া, মাদারীপুর জেলার শিবচর এবং শরীয়তপুর জেলার জাজিরার সীমান্তবেষ্টিত পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে সংযোগ সড়ক রয়েছে ১২ দশমিক ১২ কিলোমিটার।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.