বিশ্বে করোনায় মৃত্যু বেড়েছে, শনাক্ত ৭ লাখে ২৫ হাজার

চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেড়েছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৬০০ এর বেশি মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে সোয়া ৭ লাখ।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জার্মানিতে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ব্রাজিল। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, তাইওয়ান, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ইতালি ও রাশিয়া। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৪ কোটি ৭৩ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৩ লাখ ৪৭ হাজার।

শুক্রবার (২৪ জুন) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৬৫০ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে শতাধিক। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৩ লাখ ৪৭ হাজার ৪৭৬ জনে।

একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ লাখ ২৫ হাজার ৫০ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১৮ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ কোটি ৭৩ লাখ ২৬ হাজার ৪৯২ জনে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জার্মানিতে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৩৬০ জন এবং মারা গেছেন ৯৮ জন। মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৭৫ লাখ ৭৩ হাজার ৫৮৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৪০ হাজার ৫৬০ জন মারা গেছেন।

অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ব্রাজিল। লাতিন আমেরিকার এই দেশটি করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৪৬ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৬৯ হাজার ২৩১ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ১৯ লাখ ৬৩ হাজার ৭৩৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৬৯ হাজার ৯৫৮ জনের।

যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৬ হাজার ৭০২ জন এবং মারা গেছেন ২৬৬ জন। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ৮৫ লাখ ৬৬ হাজার ৯৬১ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৪০ হাজার ২৩৬ জন মারা গেছেন।

তাইওয়ানে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৬৬ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৪৮ হাজার ৩৫৬ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩৪ লাখ ৮৭ হাজার ৫৯৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৮১৭ জনের।

রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৮ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৩ হাজার ১৬৬ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮৪ লাখ ৯ হাজার ৬৫১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮০ হাজার ৭১১ জনের। একইসময়ে উত্তর কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ১১০ জন এবং দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৭৩ জন।

ফ্রান্সে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৯ হাজার ৮৫২ জন এবং মারা গেছেন ৪০ জন। মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৪ লাখ ৩৪ হাজার ৪৫১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৪৯ হাজার ২৬৮ জন মারা গেছেন। একইসময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৪৪২ জন এবং মারা গেছেন ১৪ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাজ্যে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ২৬৯ জন এবং মারা গেছেন ৭৬ জন। মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ২৫ লাখ ৭৬ হাজার ৩৫৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৭৯ হাজার ৮৫৯ জন মারা গেছেন। একইসময়ে কানাডায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৩৮৭ জন এবং মারা গেছেন ৯৬ জন।

ইতালিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬ হাজার ১৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৭৫ জন। মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৮০ লাখ ৭১ হাজার ৬৩৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৬৭ হাজার ৯৬৭ জন মারা গেছেন। একইসময়ে জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ১৬০ জন এবং মারা গেছেন ২০ জন।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩২ হাজার ১৮৪ জন এবং মারা গেছেন ৫১ জন। একইসময়ে ফিনল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ২৫৫ জন এবং মারা গেছেন ৬১ জন। চিলিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৫৯৪ জন এবং মারা গেছেন ৩৯ জন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.