তাসকিনকে কৃতিত্ব দিলেন সাকিব

গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের পেসাররা যে উন্নতি করেছে তা তাদের পারফরম্যান্সেই স্পষ্ট। বিশেষ করে লাল বলের ক্রিকেটে। যেখানে বোলারদের কাজটা খুবই কঠিন। কারণ এখানে লম্বা সময় ধরে ফিটনেস ধরে রেখে বোলিং করতে হয়। সাম্প্রতিক সময়ে টেস্ট ক্রিকেটে তাসকিন আহমেদ সেটা করে দেখিয়েছেন।

অভিষেকেই গতির ঝড় তোলা তাসকিন সময়ের সঙ্গে চোট আর ফিটনেসের কারণে ধার হারাতে বসেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালের শেষের দিকে ছিটকে যান জাতীয় দল থেকে। দল থেকে বাদ পড়ার পরও দমে যাননি, বরং নিজেকে ভেঙে নতুন করে গড়েছেন। ফিটনেসে উন্নতির পাশাপাশি বোলিংয়ে গতি বাড়িয়েছেন। আর তাতে দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর পর ২০২১ সালের জানুয়ারীতে আবারও ওয়ানডে ক্রিকেটে ফিরে নিজেকে নতুন রূপে চিনিয়েছেন ঢাকা এক্সপ্রেস। এরপর টেস্টে আর টি-টোয়েন্টিতেও ধারাবাহিক হয়েছেন তিনি।

বিরতির পর তাসকিনের দলে ফেরার পর অন্যদের কাছে অনুকরণীয় হয়ে উঠেছেন। অবশ্য এই সময়ে এবাদত হোসেন-খালেদ আহমেদরাও সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ধারবাহিক হয়েছেন। তাসকিন ২০২১ সালে আবারও দলে ফেরার পর থেকে টেস্টে বাংলাদেশের সেরা ছয় উইকেট শিকারির মধ্যে তিন জনই পেসার। সর্বশেষ নিউজিল্যান্ড সিরিজে ঐতিহাসিক মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে বাংলাদেশের জয়ের পেছনে বড় অবদান ছিল এবাদত-তাসকিনদের।

সাকিব বলেন, ‘একটা বড় কৃতিত্ব দিতে হয় তাসকিনকে। তাসকিন আসলে শেষ দুই-তিন বছরে দেখিয়ে দিয়েছে যে, কিভাবে আসলে একজন পেস বোলার বড় হতে পারে কিংবা সামনের দিকে এগোতে পারে এবং ব্যাকরণগত কিভাবে উন্নতি করতে পারে। আমার মনে হয়, তাকে অনেকেই অনুসরণ করে। আমাদের পেস বোলারদের ভালো করার পেছনে এটা একটা বড় কারণ।’

২০২১ সাল থেকে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশী বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকার করেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। এর পরে আছেন তাইজুল ইসলাম। আর ১০ ম্যাচে ২৫ উইকেট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছেন এবাদত। আর ৬ টেস্টে ১৮ উইকেট শিকার করে এবাদতের পরেই আছেন তাসকিন। এই সময়ে বিদেশের মাটিতে পেসারদের পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো।

সাকিব বলেন, ‘শেষ অনেক দিন ধরেই পেস বোলাররা ভালো বোলিং করছে এবং তাদের মধ্যে চেষ্টাও অনেক বেশি, এটা আমার কাছে মনে হয় সবথেকে বেশি দরকার। তারা বিশ্বাস করে যে, তারা অনেক কিছু পরিবর্তন করতে পারে। তো এই বিশ্বাসটা তাদের আছে এবং আমার ধারণা তারা চেষ্টা করে। তারা অনেক পরিকল্পনা করে। তারা একসাথে থেকে পরিকল্পনা করে একটা কাজ করার চেষ্টা করছে, যে কারণে আসলে তারা এত বেশি সফল হচ্ছে।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.