কর ফাঁকির বিষয়ে আপিলেট ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের পক্ষে করা রিট আবেদনটি হাইকোর্টের নতুন আরেকটি বেঞ্চে উপস্থাপন করা হয়েছে।
রোববার (১৯ জুন) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় রয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ২০ কোটি ১১ লাখ ৪ হাজার ২১৯ টাকার সম্পদ দেখিয়ে ৬ কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৩৫১ টাকা ট্যাক্স দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আপিলেট ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ড. কামাল হোসেনের পক্ষে তার ল’ফার্ম রিট আবেদনটি দায়ের করেছিল। গত ১৪ জুন রিট আবেদনটির শুনানি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন বিচারপতি সৈয়দ রিফাত আহমেদ ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
রিট আবেদনে থাকা তথ্য থেকে জানা গেছে, এর আগে ২০১৮- ২০১৯ অর্থ বছরে ড. কামাল হোসেন ১ কোটি ৪ লাখ ৩ হাজার ৪৯৫টাকা আয় দেখিয়ে রিটার্ন দাখিল করেন। কিন্তু জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০ কোটি ১১ লাখ ৪ হাজার ২১৯ টাকার সম্পদ দেখিয়ে ৬ কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজা ৩১৫ টাকা ট্যাক্স এবং সুদ ৮৭ লাখ ৩৫ হাজার ৬৩৪ টাকা দাবি করে। পরে রাজস্ব বোর্ডের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলেট ট্রাইব্যুনালের আবেদন করেন ড. কামাল হোসেন। আপিলেট ট্রাইব্যুনাল তার আবেদন খারিজ করে দেন।
এরপর সে আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন ড. কামাল হোসেনের ল‘ ফার্ম ‘ড. কামাল হোসেন এন্ড অ্যাসোসিয়েটস’। তবে সে রিট আবেদনটি গত ১৪ জুন বিচারপতি সৈয়দ রিফাত আহমেদ ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। পরে মামলাটি হাইকোর্টের নতুন বেঞ্চে শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হয়।
অর্থসূচক/এএইচআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.