পেসারদের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট ডোনাল্ড

অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম ইনিংসে কোনো এক দুঃস্বপ্নই যেন ভর করেছিল বাংলাদেশী ব্যাটারদের। শেষ পর্যন্ত সাকিব আল হাসানের হাফ সেঞ্চুরিতে কোনো রকমে শত রান পার করে তারা। এমন বাজে ব্যাটিংয়ের পর টিম ম্যানেজমেন্টকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছেন বোলাররা।

বাংলাদেশ তাদের প্রথম ইনিংসে ১০৩ রানে অলআউট হয়েছিল। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৬৫ রানে অলআউট করে সাকিব আল হাসানের দল। যেখানে এবাদত হোসেন এবং খালেদ আহমেদ শিকার করেছেন দুটি করে উইকেট আর মুস্তাফিজুর রহমান নিয়েছেন একটি উইকেট। এই তিন পেসার ছাড়াও লাল বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশের স্কোয়াডের নিয়মিত সদস্য তাসকিন আহমেদ এবং শরিফুল ইসলাম। চোটের কারণে চলমান টেস্ট সিরিজের দলে নেই তারা। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তারাও বেশ উন্নতি করেছে।

তাইতো দেশের পেস বোলিং কোচ ডোনাল্ড বলেন, ‘এই ছেলেদের সঙ্গে এটি আমার পঞ্চম টেস্ট, চাপ তৈরির প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমরা অনেক কথা বলেছি। এই পরিকল্পনায় আমি এখনও পর্যন্ত সন্তুষ্ট। আমরা সুযোগ তৈরি করেছি এবং সেটা করতে পেরেছি। আমি খুবই গর্বিত। আমরা তাসকিনকে তারমতো করে পেয়েছি, শরিফুলও ভালো করছে। এবাদত এবং খালেদের প্রতিভা আছে।’

সর্বশেষ কয়েকটি সিরিজে বেশ উন্নতি করেছে বাংলাদেশের পেসাররা। বিশেষ করে ডোনাল্ডের অধীনে যে কয়টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ, তাতে পেসারদের পারফরম্যান্সে উন্নতির ছাপ স্পষ্ট। যা এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেও চোখে পড়ছে।

গত কয়েকটি টেস্ট ম্যাচে আমরা কিছুটা উন্নতি করেছি, তবে ছোট কিছু ভুলও ছিল। কাজ করার জন্য এটা ভালো দল। আগামী বছরগুলিতে বেশ কিছু পেসার তৈরি করাই আমার লক্ষ্য। আমরা প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দেখেছি, তারা নতুন বল ভালোভাবে ব্যবহার করেছে। আমরাও যে মনোভাব দেখিয়েছি তা অনুকরণীয় ছিল।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.