মুরালিধরনকে ছাড়াতে ১১ বছর অপেক্ষায় ছিলেন বোল্ট

বেন স্টোকসের লেংথ ডেলিভারিতে মিড অনে ঠেলে দিয়েই দুই রান নিলেন টেন্ট্র বোল্ট। তাতেই মুত্তিয়া মুরালিধরনকে ছাড়িয়ে গেলেন নিউজিল্যান্ডের এই পেসার। প্রায় সাড়ে ১০ বছরের আরাধ্য সাধন করে অবশেষে ১১ নম্বরে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি রান করা ব্যাটারদের তালিকায় সবার ওপরে উঠে এলেন বোল্ট।

নটিংহ্যাম টেস্টের আগ পর্যন্ত সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ১১ নম্বরে ব্যাটিং করা ব্যাটারদের মাঝে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক ছিলেন মুরালিধরন। ৬৮ টেস্টের ৯৮ ইনিংসে ১১ নম্বরে ব্যাটিং করে সর্বোচ্চ ৬২৩ রান করেছেন এই স্পিন কিংবদন্তি। যেখানে হাফ সেঞ্চুরি না থাকলেও ৪৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।

সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসেই মুরালিধরনের সেই রেকর্ডেই ভাগ বসিয়েছেন বোল্ট। নটিংহ্যামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৮ বলে অপরাজিত ১৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। তাতে ১১ নম্বরে ব্যাটিং করা বোল্টের রানও তখন ৬২৩।

মুরালিধরনকে ছাড়িয়ে যেতে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১ রানের প্রয়োজন ছিল বোল্টের। তবে স্টোকসের বলে দুই রান নিয়ে লঙ্কান কিংবদন্তিকে ছাড়িয়ে যান তিনি। এদিন আউট হওয়ার আগে খেলেছেন ১৫ বলে ১৭ রানের ইনিংস। তাতে ৭৯ ইনিংসে ১১ নম্বরে ব্যাটিং করা বোল্টের রান ৬৪০। এই পজিশনে একটা হাফ সেঞ্চুরিও রয়েছে বোল্টের। ২০১৩ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ক্যারিয়ার সেরা অপরাজিত ৫২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। মুরালিধরনের রেকর্ড দখলে নেয়া প্রসঙ্গে বোল্ট বলেন, ‘সাড়ে ১০ বছর ধরে এই রেকর্ডের দিকে চোখ আমার।

১১ নম্বরে সবচেয়ে বেশি রান করা ব্যাটারদের তালিকার তিনে রয়েছেন জেমস অ্যান্ডারসন। ১৬৪ ইনিংসে ৬১৮ রান করেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। ক্যারিয়ার সেরা ৮২ রানের ইনিংসটাও এই পজিশনে খেলেছেন অ্যান্ডারসন। চারে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি পেসার গ্লেন ম্যাকগ্রা। ৯৭ টেস্টের ১২৮ ইনিংসে ৬০৩ রান করেছেন তিনি। এই পজিশনে সর্বোচ্চ ৬১ রানের ইনিংসও খেলেছেন এই অজি ব্যাটার। পাঁচে থাকা কোর্টনি ওয়ালস করেছেন ৫৫৩ রান। ১১ নম্বরে ৮০ টেস্টের ১২২ ইনিংসে ব্যাটিং করলেও কোনো হাফ সেঞ্চুরির দেখা পাননি ওয়ালশ। এদিকে এই পাঁচজন ব্যতীত এই পজিশনে আরও কোনো ব্যাটারের পাঁচশ রান নেই।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.