তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর ব্যবধান বাড়ানোর দাবি

পু্ঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট কর হারের ব্যবধান সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে কমপক্ষে ১০ শতাংশে উন্নীত  করার দাবি জানিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ।

আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

আজ সোমবার (১৩ জুন) রাজধানীর নিকুঞ্জে ডিএসই টাওয়ারে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএসইর চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভুঁইয়া, পরিচালক সিদ্দিকুর রহমান, পরিচালক শরীফ আনোয়ার হোসেন, প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এম সাইফুর রহমান মজুমদার এফসিএমএ বক্তব্য রাখেন।

উল্লেখ, গত ৯ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন। ঘোষিত বাজেট নিয়ে স্টেকহোল্ডাররা মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এদের একটি বড় অংশ বাজেট নিয়ে তাদের হতাশা প্রকাশ করেছেন। ডিএসইও মনে করছে তাদের বেশিরভাগ দাবি বা প্রস্তাব বাজেটে প্রতিফলিত হয়নি।

ডিএসই চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান তালিকাভুক্ত  ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর ব্যবধান বাড়ানোর দাবি জানিয়ে বলেন, আমাদের বাজারে ভাল কোম্পানির সংখ্যা একেবারেই কম। ভাল কোম্পানিগুলোকে বাজারের প্রতি আাগ্রহী করতে কর হারের ব্যবধান বাড়ানো খুবই জরুরি।

তিনি বাজারে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে করমুক্ত লভ্যাংশ-আয়ের সীমা ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে কমপক্ষে ১ লাখ টাকায় উন্নীত করার দাবি জানান। পাশাপাশি সেটিকে চূড়ান্ত কর হিসেবে গণ্য করার প্রস্তাব করেন তিনি।

তিনি বাজারের গতি ও স্থিতিশীলতা বাড়ানোর স্বার্থে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিনয়োগকারীদের মূলধনী মুনাফা করের হার ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করার দাবি জানান।

ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভুঁইয়া শেয়ার লেনদেনে উৎসে করের হার ০.০৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.০১৫ শতাংশ  নির্ধারণের দাবি জানান।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, সামগ্রিকভাবে ব্রোকারদের ব্যবসা ভাল নয়। এ বাস্তবতায় উৎসে করের হার কমানো জরুরি। এতে সরকারের আয় কমবে না। বরং এতে লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে তাতে সরকারের আয় বাড়বে।

এক প্রশ্নের জবাবে ডিএসইর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এম সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, অফশোরের টাকা (পাচার হয়ে যাওয়া টাকা) যদি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে দেশে আর তখন বাজার পরিস্থিতি বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় থাকে তাহলে ওই টাকার একটি অংশ পুঁজিবাজারেও আসতে পারে। তেমনটি হলে পুঁজিবাজার আরও গতিশীল হবে।

ডিএসই পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে করের হার কামানোর প্রস্তাব করেছে। বর্তমানে বিদেশি বিনিয়োগকারীদেরকে মূলধনী মুনাফার উপর ৩০ শতাংশ হারে কর (Capital Gain Tax) দিতে হয়। আর লভ্যাংশের উপর কর দিতে হয় ২০ শতাংশ হারে।

ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক একটি কার্যকর বন্ড মার্কেট গড়ে তোলার স্বার্থে সব ধরনের বন্ডের সুদ বা রিটার্ন থেকে প্রাপ্ত আয়কে করমুক্ত রাখার দাবি জানান। বর্তমানে শুধু জিরো-কুপন বন্ডের আয়ে করমুক্ত সুবিধা  রয়েছে।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.