আবারও কিউইদের পথ দেখালেন মিচেল-ব্লান্ডেল

লর্ডস টেস্ট হারলেও নটিংহামে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন ইতিবাচকভাবেই শেষ করেছে কিউইরা। ড্যারিল মিচেল এবং টম ব্লান্ডেলের দারুণ দুটি হার না মানা হাফ সেঞ্চুরিতে চার উইকেটে ৩১৮ রান নিয়ে দিনের খেলা শেষ করেছে তারা।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয় কিউইদের। দুই ওপেনার টম লাথাম ও উইল ইয়ং গড়েন ৮৪ রানের অসাধারণ এক জুটি। তবে ভাগ্য খারাপ ইয়ংয়ের। হাফ সেঞ্চুরির আগে, ব্যক্তিগত ৪৭ রানে ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকসের বলে ফিরে যান তিনি।

এরপরের ওভারে জেমস অ্যান্ডারসনের করা প্রথম বলে ফিরে যান আরেক ওপেনার লাথামও। ভারপ্রাপ্ত কিউই অধিনায়কের ব্যাটে আসে ২৬ রান। হুট করে দুই উইকেট হারিয়ে খানিকটা চাপে পড়ে সফরকারীরা।

এই চাপ থেকে তাদের উদ্ধার করেন ডেভন কনওয়ে ও করোনা আক্রান্ত কেন উইলিয়ামসনের জায়গায় সুযোগ পাওয়া হেনরি নিকোলস। দুজনে মিলে গড়েন ৭৭ রানের জুটি। ঘুরে দাঁড়ানো কিউই শিবিরে আবারও আঘাত হানেন স্টোকস। ব্যক্তিগত ৩০ রানে থাকা অবস্থায় নিকোলসকে বিদায় করেন তিনি। চটজলদি আরেকটি উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। ৪৬ রানে থাকা কনওয়েকে প্যাভিলিয়নে ফেরান অ্যান্ডারসন।

দলীয় ১৬৯ রানে চার উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। এরপরের গল্পটা শুধুই মিচেল ও ব্লান্ডেলের। অসাধারণভাবে খেলে দুজনই তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। অবিচ্ছিন্ন ১৪৯ রানের জুটি নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করবেন তারা। লর্ডসে, প্রথম টেস্টেও তাদের ১৯৫ রানের জুটিতে ম্যাচে ফেরার চেষ্টায় ছিল নিউজিল্যান্ড। নয়টি চার ও দুটি ছক্কায় ৮১ রানে অপরাজিত আছেন মিচেল। আটটি চারে ৬৭ রান করে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন উইকেটরক্ষক ব্লান্ডেল।

এ দিন অবশ্য বেশ কিছু ক্যাচ ছাড়েন ইংলিশ ক্রিকেটাররা। নিকোলস-কনওয়েরা জীবন পেয়ে ব্যর্থ হলেও সেই পথে পা বাড়াননি মিচেল। ব্যক্তিগত তিন রানে থাকা অবস্থায় প্রথম স্লিপে জো রুটকে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর হাঁকান ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.