পরিবহন খাতে বরাদ্দ বেড়েছে

পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ৮১ হাজার ৫১৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। চলমান ২০২১-২০২২ অর্থবছরে এ খাতে ৭২ হাজার ২৯ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী এ কথা জানান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে একটি আধুনিক ও উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার নিরাপদ, টেকসই পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী যোগাযোগ অবকাঠামো গড়ে তুলতে সদা সচেষ্ট আছে। এ লক্ষ্যে আমরা সড়কপথ, সেতু, রেলপথ, নৌপথ এবং আকাশপথে সমন্বিত বিনিয়োগের মাধ্যমে একটি কার্যকর অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, সড়ক নিরাপত্তা জোরদার, যানজট নিরসন এবং সাশ্রয়ী গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে ঢাকা শহরে বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) ও মাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) চালুর পরিকল্পনা মোতাবেক বাস্তবায়ন এগিয়ে চলেছে। গত ১৩ বছরে সড়কপথের উন্নয়নে ৩৫৭টি প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং ৪৪৮টি নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। একই সময়ে ১৭৩.২০ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক ৪ বা তার অধিক লেনে উন্নীত করা হয়েছে এবং ৯১৪.৮৪ কিলোমিটার মহাসড়ক ৪ বা ততোধিক লেনে উন্নীত করার কাজ চলমান আছে। সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙা এক্সপ্রেসওয়ে এবং গাজীপুর-টাঙ্গাইল ৬-লেন সড়ক নির্মাণ শেষে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়ক ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ সমাপ্তির পথে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ শুরু হয়েছে। বর্তমানে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতায় ২৬টি বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, সেতু বিভাগে ৯ হাজার ২৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকছে।

২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকা মহানগরী এবং সংযুক্ত এলাকার যানজট নিরসন ও গণচলাচল পরিবেশ উন্নয়নে ৬টি মেট্রোরেল লাইনের সমন্বয়ে ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের আওতায় ১২৯.৯০১ কিলোমিটার (৬৮.৭২৯ কি.মি. উড়াল ও ৬১.১৭২ কি.মি. পাতাল) দীর্ঘ ও ১০৫টি স্টেশন (৫২টি উড়াল এবং ৫৩টি পাতাল) বিশিষ্ট একটি সমন্বিত মেট্রোরেল ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। উত্তরা ৩য় পর্যায়ে ডিপো থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত সফলভাবে পরীক্ষামূলক মেট্রোরেল চলাচল করেছে এবং ডিসেম্বর ২০২২ নাগাদ এ অংশটি বাণিজ্যিকভাবে যাত্রী পরিবহনের জন্য খুলে দেওয়া হবে। আগারগাঁও হতে মতিঝিল পর্যন্ত অবশিষ্ট অংশটি ডিসেম্বর ২০২৩ নাগাদ বাণিজ্যিক কার্যক্রমের জন্য খুলে দেওয়া হবে। পরবর্তীতে এটিকে মতিঝিল হতে কমলাপুর পর্যন্ত ১.১৬ কি.মি. বর্ধিত করা হবে। পাশাপাশি এমআরটি লাইন ৫-এর সাউদার্ন ও নর্দার্ন রুট এবং এমআরটি লাইন-১ এর ডিটেইলড ডিজাইনের কাজ শেষের পথে রয়েছে। আশা করছি, এমআরটি লাইন-১ এর নির্মাণকাজ আগামী অর্থবছরে শুরু করা সম্ভব হবে। এছাড়া, সরকার চট্টগ্রাম শহরেও এমআরটি ব্যবস্থা চালুর জন্য পরিকল্পনা করছে।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.