স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণে প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা

আগামী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ খাতে ৩৬ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় এই তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী। বিকেল ৩টায় একাদশ জাতীয় সংসদের ১৮তম (বাজেট) অধিবেশন শুরুর পর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর অনুমোদনক্রমে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় গৃহীত কার্যক্রমসহ কোভিড পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্যখাতের সার্বিক উন্নয়নের বিষয় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনায় নিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ খাতে আগামী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জন্য ৩৬ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা প্রস্তাব করছি। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ৩২ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ২০২০ সালের প্রথমার্ধ হতে অদ্যাবধি ‘কোভিড-১৯’ অতিমারির প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ঢেউয়ের প্রকোপে সারাবিশ্ব সংকটাপন্ন সময় অতিক্রম করছে ও ২০২২ এর প্রথমার্ধে এসেও বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিরাজ করছে। বাংলাদেশ এ অতিমারি হতে জীবন-জীবিকা সুরক্ষাকল্পে স্বাস্থ্যখাত শক্তিশালীকরণসহ সামাজিক ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।

তিনি বলেন, জনস্বাস্থ্য ও জনজীবনের উপর ‘কোভিড-১৯’ অতিমারির প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন অব্যাহত রাখা, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা অবলম্বন, স্বাস্থ্যসেবা খাতের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও অর্থায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ, যথাসময়ে কোভিড ভ্যাকসিন ক্রয় এবং পর্যায়ক্রমে তা জনসাধারণের মধ্যে প্রয়োগ করার মতো অতি জরুরি পদক্ষেপ আমরা যথাসময়ে গ্রহণ করেছি। ফলে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রেখে মৃত্যুর হার অন্যান্য দেশের তুলনায় বহুলাংশে হ্রাস করা সম্ভবপর হয়েছে। পাশাপাশি, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা অনুযায়ী স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ খাতের কার্যক্রমে অগ্রাধিকার প্রদান করার ফলে জনজীবন সুরক্ষিত রেখে জীবন-জীবিকা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে সরকার।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.