সংসদে ৬ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ বৃহস্পতিবার

আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য সরকার ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছে। নতুন এই বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। এতে মূল্যস্ফীতি ধরা হবে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) জাতীয় সংসদে এই বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল।

দেশের ইতিহাসের ৫১তম আর আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে ২২তম জাতীয় বাজেট ঘোষণা হতে যাচ্ছে কাল। জুলাই থেকে শুরু হতে যাওয়া আগামী অর্থবছরের জন্য সরকার খরচ করতে চায় ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ। চলতি অর্থবছর বাজেটের আকার ধরা হয় ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা।

এবারের বাজেটে অনুন্নয়ন খাতে ব্যয় ধরা হচ্ছে চার লাখ ৩২ হাজার কোটি টাকা । যা মোট বাজেট বরাদ্দের প্রায় ৬৪ শতাংশ।

করোনার প্রভাব কাটিয়ে অর্থনীতির পুনরুদ্ধার পর্যায়ে শুরু হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, যার ধাক্কায় আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। পাশাপাশি ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নে দেশে ভোগ্যপণ্যের দাম আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় ভর্তুকি বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে চায় সরকার। এজন্য বাজেটে প্রণোদনা ও ভর্তুকিতে বরাদ্দ থাকছে ৮৩ হাজার কোটি টাকা। এর বেশিরভাগই যাবে কৃষি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে।

আসন্ন অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ থাকছে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা। বরাবরের মতোই সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে পরিবহন ও যোগাযোগ।

বাজেটে মোট আয় ধরা হচ্ছে প্রায় ৪ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে আদায় করতে হবে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। এনবিআর-বহির্ভূত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ১৮ হাজার কোটি টাকা। বাকিটা আসবে কর-বহির্ভূত রাজস্ব থেকে।

বাজেট ঘাটতি ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা । যা দেশের জিডিপির ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। এজন্য বৈদেশিক ঋণ ও সহায়তা পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ৯৫ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেয়া হবে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা, বাকিটা মিটবে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নিয়ে।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.