পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে টাস্কফোর্স পুনর্গঠন

বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফেরত আনতে বিদ্যমান টাস্কফোর্স পুনর্গঠন করা হয়েছে।বাড়ানো হয়েছে এর সদস্য সংখ্যা। পুনর্গঠিত টাস্কফোর্সের সদস্য সংখ্যা ১৪ জন। এতদিন এর সদস্য সংখ্যা ছিল ১০ জন। আর ওই টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছিল ২০১৩ সালে।

রোববার (৫ জুন) অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ টাস্কফোর্স পুনর্গঠন সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে।

এতে বলা হয়, অ্যাটর্নি জেনারেলের নেতৃত্বে টাস্কফোর্স পুনর্গঠন করা হয়েছে। টাস্কফোর্সের কার্যপরিধিও নতুন করে নির্ধারণ করা হয়েছে।

পাচারকৃত অর্থ দেশে ফেরত আনার ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট বিদেশি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ, তথ্য সংগ্রহ ও অভ্যন্তরীণ সমন্বয় করবে এই টাস্কফোর্স।

পাশাপাশি পাচারকৃত সম্পদ উদ্ধারে করা কোনো মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে বাধা এলে তা চিহ্নিত করে নিরসনে টাস্কফোর্স ব্যবস্থা নেবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

টাস্কফোর্সের আহ্বায়ক থাকছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এবং সদস্য সচিব বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের উপপ্রধান কর্মকর্তা।

অন্যান্য সদস্যরা হলেন- বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান কর্মকর্তা, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক, দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক (মানিলন্ডারিং), আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্মসচিব (কেন্দ্রীয় ব্যাংক), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্মসচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্মসচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলের মহাপরিচালক, কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (জাতিসংঘ), সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক (বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ)।
এই টাস্কফোর্সের পুনর্গঠন এমন সময়ে করা হলো যখন পরবর্তী অর্থবছরের বাজেটে সরকার পাচার করা টাকা দেশে ফিরিয়ে আনতে বিশেষ সুযোগ দিতে যাচ্ছে। আর এর জন্য বিশেষ সুবিধা দেওয়া হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন খোদ অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল।

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.