গ্যাসের নতুন মূল্যহার যৌক্তিক: এফবিসিসিআই

এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, কোভিড মহামারী পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের এই পর্যায়ে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে গ্যাসের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট খাতকে ঘুড়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে। তাছাড়াও সিএনজির দাম অপরিবর্তিত রাখার ফলে গণপরিবহনের ভাড়া বাড়বে না।

এই বিবেচনায় গ্যাসের নতুন মূল্যহারকে যৌক্তিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের সব ধরনের শিল্পখাতের সক্ষমতা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে গ্যাসের নতুন মূল্যহার নির্ধারণ করা হয়েছে।

রোববার ( ০৫ জুন) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে গ্যাসের নতুন এ দর সম্পর্কে জানান।

নতুন মূল্যহার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প খাতে গ্যাসের দাম প্রায় ৩৭ শতাংশ কমানো হলেও ক্যাপটিভ বিদ্যুতে সাড়ে ১৫ শতাংশ, বৃহৎ শিল্পে ১১.৯৬ শতাংশ, মাঝারি শিল্পে ১০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া বিদ্যুৎ খাতে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়ানো হয়েছে ১২.৮১ শতাংশ।

এদিকে বিশ্বজুড়ে এলএনজির (লিকিউফাইড ন্যাচারাল গ্যাস) দাম বৃদ্ধি এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে জ্বালানির বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার পরেও দেশে গ্যাসের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রাখায় সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এফবিসিসিআই’র সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

তিনি বিশ্বাস করেন, গ্যাসের দাম নির্ধারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী সিদ্ধান্ত দেশের শিল্পায়নকে আরো ত্বরান্বিত ও অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে আরো বেগবান করবে। তিনি শিল্পের উৎপাদন অব্যাহত রাখতে সরবরাহকারী কোম্পানিগুলোকে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাসের যোগান নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.