ডলারের একক দামঃ পিছু হটল বাংলাদেশ ব্যাংক

ব্যাংকে ডলারের একক রেট বেঁধে দেওয়ার ইস্যুতে পিছু হটল বাংলাদেশ ব্যাংক। তুলে নেওয়া হল একক দামের নির্দেশনা। দাম নির্ধারণের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া হল বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর উপরে। এতে প্রত্যেক ব্যাংক চাহিদার সাথে সঙ্গতি রেখে তার মতো করে ডলারের দাম নির্ধারণ করতে পারবে।

ডলার মার্কেটের অস্থিরতা নিরসনে মাত্র চারদিন আগে এর একক মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছিল আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক। দর নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮৯ টাকা।

গত রোববার (২৯ মে) ডলারের একক দাম নির্ধারণ করে নির্দেশনা জারি করেছিল। তখনই অবশ্য ব্যাংকারদের পক্ষ থেকে দ্বিমত প্রকাশ করে বলা হয়েছিল, বর্তমান বাস্তবতায় একক দাম কাজ করবে না। তাতে রেমিট্যান্স তথা প্রবাসী আয়ের প্রবাহ ব্যাহত হতে পারে।

শেষ পর্যন্ত ব্যাংকারদের পূর্বাভাসই কার্যকর হল। ডলারের একক রেট ৮৯ টাকা বেধে দেয়ার পর প্রবাসী আয়ে ভাটা ও রপ্তানিকারকরা বিল নবায়ন না করার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বাধ্য হয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

ডলারের একক দাম সংক্রান্ত নির্দেশনা পরিবর্তনের কারণ সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যাংকগুলো বলেছে, রেমিট্যান্স যারা পাঠাচ্ছে তারা ডলারের এ রেট ঠিক নয় বলে মনে করছে। এজন্য প্রতিযোগিতামূলক বাজারের উপর নির্ভর করে ব্যাংকগুলো ডলার দর নির্ধারণ করবে।’

সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘তবে হঠাৎ যেন ডলারের দাম বেশি বাড়িয়ে না ফেলা হয়, সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে ব্যাংকগুলোকে। পাশাপাশি বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো যাতে দাম বেশি বাড়াতে না পারে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম বাজারমূল্যে নির্ধারণ হওয়ায় আমদানিতেও একইভাবে ডলারের দাম নির্ধারণ হবে। পাশাপাশি রপ্তানি আয় নগদায়ন হবে বাজারমূল্যে। ব্যাংকগুলো যে দামে ডলার কিনবে, বিক্রি করবে তার চেয়ে কিছু বেশি দামে।’

বাজারে ডলারের চাহিদার সাথে সঙ্গতি রেখে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃক ডলারের দাম নির্ধারণের এই নির্দেশনা আজ থেকেই কার্যকর হয়েছে।

টাকার বিপরীতে ডলারের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকায় গত রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের একক দাম ৮৯ টাকা বেঁধে দিয়েছিল। তার আগে বিভিন্ন ব্যাংকে বিভিন্ন দামে ডলার কেনা-বেচা হয়েছে। এই দাম ৯৭ টাকা পর্যন্ত উঠে গিয়েছিল।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.