ধান-চাল মজুতের বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরালো হবে: খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, একটি মহল খাদ্যঘাটতির বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে। তবে বাংলাদেশে খাদ্যঘাটতির আশঙ্কা নেই। মজুতদারির বিরুদ্ধে অভিযান চলছে, ধান-চাল মজুতের বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরালো হবে।

বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ ও বাজার মনিটরিং সংক্রান্ত অনলাইন মতবিনিময় সভায় আজ বৃহস্পতিবার ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে খাদ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দুই কারণে সরকার ধান-চাল সংগ্রহ করে। প্রথমত, সরকার ধান কিনলে কৃষক তার ফসলের ন্যায্যমূল্য পান। দ্বিতীয়ত, জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।

ধান-চাল সংগ্রহকালে কারও সঙ্গে দুর্ব্যবহার না করার নির্দেশনা দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বোরো সংগ্রহ সফল করতে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের কাজ করতে হবে। কোনো ধরনের গাফিলতি সহ্য করা হবে না। তবে চালের মানের সঙ্গে আপস করা যাবে না।

মন্ত্রী বলেন, বড় বড় করপোরেট হাউস ধান-চাল সংগ্রহ করছে। এসব প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব মিল না থাকলে তারা যেন এ ব্যবসায় যুক্ত না হতে পারে সেটা নিশ্চিতে ধান-চালের বাজারে প্রশাসনের নজরদারি বাড়াতে হবে।

খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘ফুড গ্রেইন লাইসেন্স প্রদান ও নবায়নে জোর দিতে হবে। কেউ যেন লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা না করতে পারে, অবৈধ মজুত করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।’ অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট ১৯৭৪ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে চাল ও গমের দাম কমতে শুরু করেছে। সেই দেশ চাল ও গম রপ্তানি করবে মর্মে পত্রও দিচ্ছে। বাজার অস্থির করতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে ট্যাক্স কমিয়ে চাল আমদানি করা হবে।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.