মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে যে ধরনের প্রশ্ন করার পরামর্শ দিলেন ড. মোমেন

বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসকে কী ধরনের প্রশ্ন করতে হবে সে বিষয়ে সাংবাদিকদের পরামর্শ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বুধবার (১ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সাংবাদিকদের উদ্দেশে পাঠানো এক বার্তায় তিনি এ পরামর্শ দেন।

এর আগে মঙ্গলবার (৩১ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশের নির্বাচন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মানবাধিকারসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। এরপরই পররাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমে এ বার্তা পাঠান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বার্তায় বলেন, আপনারা (সাংবাদিক) অনুগ্রহ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে প্রশ্ন করবেন, কেন তারা তাদের দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে পারেনি? দ্বিতীয়ত, প্রতিবছর প্রায় এক লাখ মার্কিন নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে নিখোঁজ হয়। এমনকি শিশুরা তাদের হিস্পানিক মা–বাবার সঙ্গে পুনর্মিলন থেকে বঞ্চিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন করুন, বাংলাদেশ সম্পর্কে নয়।

এ কে আব্দুল মোমেন আরও বলেন, আমাদের দেশ শাসন এবং এর উন্নয়নের দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্রের নয়। যুক্তরাষ্ট্র যদি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা চায়, তাহলে আরটি (রাশিয়ান টেলিভিশন) সম্প্রচারে কেন বাধা দিয়েছে? তারা যদি জবাবদিহি চায়, তাহলে কেন প্রতিবছর এক হাজারেরও বেশি নাগরিককে (বেশির ভাগ কৃষ্ণাঙ্গ ও হিস্পানিক) হত্যার দায়ে মার্কিন নিরাপত্তা বাহিনী বা পুলিশের কোনো শাস্তি বা জবাবদিহি হয় না?

সাংবাদিকদের উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা কেন মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে প্রশ্ন করেন না যে, যদি তাদের নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠু হয়, তাহলে কেন তরুণ আমেরিকানরা তাদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস করে না। কেন তরুণ আমেরিকানদের মধ্যে ভোট দেওয়ার হার কম। প্রতিটি নির্বাচনে কেন তাদের ভোটারদের প্রায় ২৫ শতাংশ ভোট দেয়? এটা কী একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রক্রিয়া?

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.