অধিনায়কত্ব ছাড়তে চান বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হোসেন পাপনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমে এ কথা জানিয়েছেন মুমিনুল নিজেই।
মুমিনুলের অধীনে ১৭ ম্যাচ খেলে তিনটিতে জিতেছে বাংলাদেশ দল, ড্র হয়েছে দুই টেস্ট। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ে টাইগারদের দলপতি ছিলেন তিনিই। মুমিনুলের জায়গায় নতুন অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে সাকিব আল হাসানকে।
ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার কাছে শেষ ম্যাচে হারের পর থেকেই শুরু হয়েছিল অধিনায়কত্ব বদলের গুঞ্জন। আজ দুপুর থেকেই শোনা যায়, মুমিনুলের জায়গায় নতুন অধিনায়ক হিসেবে সাকিবকে বেছে নিতে চায় বোর্ড। তবে মুমিনুল যদি অধিনায়কত্ব চালিয়ে নিতে চান, তাহলে কোনো বদল আনা হবে না।
সেই আলোচনার সবশেষ অবস্থাই আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে গেলেন মুমিনুল। দুপুর থেকেই গুলশানে বিসিবি সভাপতির বাসভবনের সামনে উন্মুখ অপেক্ষা ছিল সংবাদমাধ্যমের। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতে বাসায় প্রবেশ করেন মুমিনুল হক। খানিক পর বেরিয়েই জানান অধিনায়কত্ব ছাড়ার কথা।
ব্যাটিংয়ে অফফর্মের কারণেই যে দায়িত্ব ছেড়েছেন তা জানিয়ে মুমিনুল বলেছেন, ‘আমি বলেছি যে অধিনায়ক হিসেবে আমি দলে অবদান রাখতে পারছি না। আমার কাছে মনে হয় এই মুহুর্তে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া উচিৎ। আমি বলে আসছি, এখন উনারা (বোর্ড) কী সিদ্ধান্ত নেয় উনাদের ব্যাপার।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আপাতত আমি চাচ্ছি ব্যাটিংয়ে মনযোগ দিতে, আমার জন্য ভালো। যখন আপনি ভালো খেলবেন, দল খারাপ করলেও অনুপ্রেরণা দিতে পারবেন। আমিও ভালো খেলতে পারছি না দলও ভালো করছে না। এই সময়ে অধিনায়কত্ব করা খুবই কঠিন।’
উল্লেখ্য, সবশেষ সাত ইনিংসের একবারের জন্যও দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি মুমিনুল। শেষ ১৫ ইনিংসে ফিফটি করেছেন মাত্র একবার। সবমিলিয়ে অধিনায়ক হিসেবে ১৭ ম্যাচের ৩১ ইনিংসে মাত্র ৩১.৪৪ গড়ে ৯১২ রান করতে পেরেছেন তিনি। অথচ অধিনায়কত্ব পাওয়ার আগে তার ব্যাটিং গড় ছিল প্রায় ৪২ ছুঁইছুঁই।
অর্থসূচক/এমএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.