প্রেসিডেন্টের জবাবদিহি চান শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

শ্রীলঙ্কার চলমান সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য কিছু প্রস্তাব রেখেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে৷ তার প্রস্তাবনায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে সংসদের কাছে প্রেসিডেন্টের জবাবদিহি এবং সংসদীয় কমিটিতে তরুণদের অংশগ্রহণ৷

প্রচণ্ড বিক্ষোভের মুখে মাহিন্দা রাজাপাকসে পদত্যাগ করায় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পান রনিল বিক্রমাসিংহে৷ চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই তার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ রাজনৈতিক অস্থিরতা প্রশমিত করে দেশের ভেঙে পড়া অর্থনীতিকে আাবার সচল করা৷ এই দুটি লক্ষ্যকে সামনে রেখে কিছু প্রস্তাব রেখেছেন বিক্রমাসিংহে৷

শ্রীলঙ্কার ডেইলি মিররকে তিনি বলেন, বর্তমানে যে ব্যবস্থা চলছে তরুণরা তার পরিবর্তন চায়৷ তাই তরুণদের সার্বিক সমস্যা সম্পর্কে জানা দরকার এবং নিজেরা যাতে নিজেদের সমস্যা সমাধান করতে পারে সে সুযোগ তাদের দেয়া দরকার৷

এই লক্ষ্য পূরণের জন্য সবার আগে রাজনৈতিক সংস্কারের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, আইন প্রণেতাদের ক্ষমতা বাড়াতে হবে এবং সরকারের প্রভাব কমাতে হবে৷ আমাদের প্রস্তাব করা নতুন ব্যবস্থা অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট সংসদের কাছে দায়বদ্ধ হবেন৷

রনিল বিক্রমাসিংহে জানান, আপাতত ১৫টি সংসদীয় কমিটি গঠনের কথা ভাবছেন তারা৷ প্রত্যেকটি কমিটিতে চারজন করে তরুণ থাকবেন৷ চারজন তরুণ প্রতিনিধির তিনজনই হবেন অ্যাক্টিভিস্ট এবং প্রতিবাদী সংগঠনগুলোর পছন্দের৷

শ্রীলঙ্কার দৈনিককে দেয়া সাক্ষাৎকারে অবশ্য রনিল বিক্রমাসিংহে এ-ও জানিয়েছেন যে, তিনি আসলে খুব নতুন কিছু করছেন না৷ শ্রীলঙ্কা ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে মুক্ত হয় ১৯৪৮ সালে৷ তার আগে দেশে যে ব্যবস্থা ছিল নতুন প্রস্তাবনা তার আলোকেই তৈরি করা হয়েছে বলে জানান তিনি৷ সূত্র: ডিডাব্লিউ, রয়টার্স, এপি

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.