ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রেল স্টেশন থেকে কলকাতার চিৎপুর স্টেশনের উদ্দেশ্যে ১৬৫ জন যাত্রী নিয়ে ছেড়ে গেছে মৈত্রী এক্সপ্রেসের ট্রেনটি। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ প্রায় আড়াই বছর পর আবারও ঢাকা-কলকাতা রুটে রেল যোগাযোগ শুরু হলো। করোনা মহামারির কারণে বন্ধ ছিল দু’দেশের মধ্যকার রেল যোগাযোগ।
রোববার (২৯ মে) সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে যায় মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনটি। ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া কলকাতার মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী ধারণ সংখ্যা ৪৫৬ জন।
সকাল সাড়ে ছয়টার পর ইমিগ্রেশনের জন্য রেল স্টেশনে প্রবেশ করেন যাত্রীরা। সকাল সাড়ে ৭টায় শেষ হয় ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম। পরে সিট অনুযায়ী ট্রেনে বসেন যাত্রীরা। ট্রেনের যাত্রা আরামদায়ক এবং বাড়তি ঝক্কি-ঝামেলা না থাকায় সব বয়সীদের কাছেই ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনটি জনপ্রিয়। বিশেষ করে চিকিৎসা সেবা নিতে যারা ভারতের বিভিন্ন শহরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন তাদের কাছে অনেকটা স্বস্তিদায়ক এই ট্রেনযাত্রা।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার ছেড়ে যাওয়া ট্রেনের যাত্রীদের বিদায় জানাতে সেখানে উপস্থিত হন। এ সময় তিনি যাত্রীদের খোঁজ-খবর নেন এবং চকলেট ও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা গত চারদিন আগে সিদ্ধান্ত নেই এ ট্রেনটি আবারও পরিচালনার। আজ ঢাকা-কলকাতা রুটে মৈত্রী এক্সপ্রেসের ট্রেন চলাচল শুরু হলো। আজ ১৬৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রেল স্টেশন থেকে কলকাতা চিৎপুর রেলস্টেশনের উদ্দেশ্যে ট্রেন ছেড়ে যাচ্ছে। ট্রেনটির নতুন এই যাত্রা নিয়ে সে রকম প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারিনি বলে যাত্রী কিছুটা কম। তবে ভবিষ্যতে যাত্রী সংখ্যা আরও বাড়বে। তাছাড়া এই ভ্রমণের সঙ্গে ভারতের ভিসার সম্পর্ক রয়েছে। এখন থেকে মৈত্রী এক্সপ্রেস সপ্তাহে পাঁচদিন ঢাকা-কলকাতা রুটে চলাচল করবে।
এদিকে, রেল যোগাযোগ চালু হয়েছে কলকাতা-খুলনা রুটেও। বন্ধন এক্সপ্রেস নামে ট্রেনটিও আজ সকালে কলকাতা থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.