গ্রিসকে ইরানের উপযুক্ত জবাব, নিজেদের ১টি জাহাজ আটকের ঘটনায় গ্রিসের ২ জাহাজ আটক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম চ্যালা গ্রিসকে উপযুক্ত জবাব দিয়েছে ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান। ঢিলের বদলে পাটকেল ছুঁড়েছে দেশটি। তাদের একটি অয়েল ট্যাঙ্কার আটকের ঘটনায় তারা গ্রিসের দুটি অয়েল ট্যাঙ্কার আটক করেছে।

খবর এপি, আল-জাজিরা ও গার্ডিয়ানের

গত ১৫ এপ্রিল গ্রিস কর্তৃপক্ষ ইরানের জ্বালানী তেলে পূর্ণ একটি জাহাজ (অয়েল ট্যাঙ্কার) আটক করে। জাহাজ গ্রিসের রাজধানী এথেন্স থেকে ১২৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কারিস্তোস দ্বীপে নোঙর করা হয়েছিল। ধারণা করা হয়, জাহাজটিতে ১ লাখ টন জ্বালানী তেল ছিল। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইরান এই তেল কোনো একটি দেশে রপ্তানির চেষ্টা করছিল বলে গ্রিসের অভিযোগ।

গ্রিক সরকার ইরানি তেল ট্যাংকার আটক করার পর তেহরানে নিযুক্ত গ্রিসের রাষ্ট্রদূতকে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়। ইরানের পক্ষ থেকে ট্যাংকারটিকে নির্বিঘ্নে ছেড়ে দেওয়ারও আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু এই আহ্বানে গ্রিস কোনো সাড়া দেয়নি। বরং ওই জাহাজ থেকে সব তেল খালাস করে অন্য একটি জাহাজে নামিয়ে ইরানের খালি জাহাজটি যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

ওই ঘটনার পর থেকেই প্রতিশোধ নেওয়া জন্য তক্কে তক্কে ছিল ইরান। শুক্রবার (২৭ মে) তারা এই সুযোগ পেয়ে যায়। পারস্য উপসাগরে গ্রিসের দুটি অয়েল ট্যাঙ্কারের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়ে সেখানে অভিযান চালায় ইরানের রেভ্যুলেশনারি গার্ড। পারস্য উপসাগরে হেলিকপ্টার পাঠিয়ে জাহাজ দুটিতে কমান্ডো নামিয়ে দেওয়া হয়। তারা অস্ত্রের মুখে জাহাজ দুটির ক্যাপ্টেনকে বাধ্য করে সেগুলোকে ইরানের বন্দরে নিয়ে আসতে।

ইরানের অভিযোগ, জাহাজ দুটি আইন লংঘন করেছিল। তাই এদেরকে আটক করা হয়েছে।

গ্রিক সরকার তাদের দুটি অয়েল ট্যাঙ্কার আটকের বিষয়টি স্বীকার করেছে। তবে আইন লংঘনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

জাহাজ দুটিতে কতজন ক্রু ছিল গ্রিস ও ইরান- কোনো দেশের কর্তৃপক্ষই তা প্রকাশ করেনি।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.