স্ত্রীর বড় বোনকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ, ছোট বোনের স্বামী গ্রেফতার

নোয়াখালীর চাটখিলে স্ত্রীর বড় বোনকে (৩২) ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণের অভিযোগে ছোট বোনের স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আবু বক্কর ছিদ্দিক উল্যা (৩০)। সে এই উপজেলার চাটখিল পৌরসভার ৪নম্বর ওয়ার্ডের ভীমপুর গ্রামের মৃত আবুল হাশেমের ছেলে।

রোববার (২২ মে) রাতে পৌরসভার ভীমপুর মহল্লা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে রোববার সন্ধ্যায় চাটখিল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ রাতেই অভিযোগটি ধর্ষণ মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে চাটখিল পৌরসভার ভীমপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। সোমবার সকালে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত ছিদ্দিক উল্যা ২০২০ সালে স্ত্রীর বড় বোনের ঘরে ঢুকে কৌশলে তাকে ঠান্ডা পানীয়র সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে। এরপর তাকে ধর্ষণ এবং এর ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে। পরে ভিডিওটি ভুক্তভোগীর স্বামী, আত্মীয়-স্বজন ও যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বিদেশ যাওয়ার জন্য পাঁচ লাখ টাকা আদায় করে। ৭-৮ মাস পর প্রবাস থেকে দেশে ফিরে ২০২১ সালে পুনরায় ভিডিওটির ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগীর স্বামীর কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা এনে দেওয়ার জন্য বলে। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী তার ব্যবহৃত আট ভরি স্বর্ণালংকার এবং নগদ ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকা আবু বকর ছিদ্দিক উল্লাহকে দেন।

দিনের পর দিন এভাবে ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়ে এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী নারী বিষয়টি তার স্বামীকে জানান। এই ঘটনায় তাদের হত্যার হুমকিও দেয় লম্পট ছিদ্দিক উল্যা। একপর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার (১৯ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় ভীমপুর গ্রামের দাস বাড়ির সামনে গৃহবধূর স্বামীর ওপর হামলা চালানো হয়। এই নিয়ে ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ দেন।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ও ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে আবু বক্কর ছিদ্দিক উল্লাহসহ দুই জনের নাম উল্লেখ এবং ৩-৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেছেন। ওই মামলায় রবিবার রাতে মূল আসামিকে গ্রেফতার করে সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এবং ডিএনএ টেস্টের জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে। এছাড়া অপর আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.