ভালো মানুষ ভালো দেশ স্বর্গভূমি বাংলাদেশ

প্রাচীনকালে মহামানব সক্রেটিস বলেছেন “নো দ্যাইসেলফ”। ভারতীয় ধর্মীয় দর্শনেও এমন একটি কথা আছে- ‘আত্মানং বিদ্ধি’ অর্থাৎ, নিজেকে জানো। ইসলাম ধর্ম এমন একটি বাণী আছে ‘মান আরাফা নাফসাহু ফাকাদ আরাফা রাব্বাহু’ যে নিজেকে চিনতে পারল সে তার স্রস্টাকে চিনতে পারলো। দিন যত গিয়েছে এই কথা গুলির অর্থ মানব জাতি আরো বেশি করে উপলব্ধি করেছে। একজন ভালো মানুষ হতে হলে প্রথমেই নিজেকে জানতে হবে, আত্ম অনুসন্ধান করতে হবে। কিন্তু নিজেকে জানার সেরা পদ্ধতি কি তা কে বলবে?

আধুনিককালে আমরা জানতে পারি মেডিটেশন বা ধ্যান এর কথা যা প্রাচীনকাল থেকে মুনিঋষি সাধকরা করে আসছে। আর মেডিটেশন হলো নিজের গভীরে ডুব দিয়ে সকল নেতিবাচকতা উপড়ে ফেলে ও নিজেকে পরিশুদ্ধ করে ভালো মানুষ হওয়ার একটি মূল অস্ত্র। আসলে যেকোনো অর্জন আসে বর্জনের মধ্য দিয়ে। আমাদেরকে বর্জন করতে হবে কিছু নেতিবাচক আবেগ অনুভূতি -রাগ, ক্ষোভ, ঘৃণা, হিংসা, গিবত, লোভ , লালসা , ইগো, হতাশা, আসক্তি ইত্যাদি । আর এজন্যই মেডিটেশনকে বলা হয় কুলিং সিস্টেম অফ ব্রেইন এন্ড ওয়াশিং সিস্টেম অফ মাইন্ড । লালিত অভ্যাস চক্র থেকে মুক্ত হওয়া যাবে অটোসাজেশন ও মেডিটেশনের মধ্য দিয়ে। মুক্ত হওয়া যাবে সকল জরা গ্লানি অসুখ থেকে। অসুখ জিনিসটা কি ? আসলে সুখের অভাবই হচ্ছে অসুখ। তাই এই অসুখ থেকে মুক্তির জন্য আধুনিক বিজ্ঞান আশ্রয় নিয়েছে মেডিকেশন এর পাশাপাশি মেডিটেশন এর যা ভিতরের নেতিবাচক বিষানু দূর করে সুখের উদ্রেক করে। এমনকি সুস্বাস্থ্য ও নিরাময়ের সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে যে কেউ মুক্ত থাকতে পারে ৭৫ ভাগ মনোদৈহিক রোগ থেকে।

সাফল্য যে মূল পাচটি স্তম্ভ রয়েছে শারীরিক সুস্থতা তার একটি। অন্যগুলি হলো মানসিক সাফল্য,পারিবারিক, আত্মিক ও আধ্যাত্মিক সাফল্য।

যে মাটিতে মানুষ আছাড় খায় সেই মাটির ঘরে এসে আবার উঠে দাঁড়ায়। এই উঠে দাঁড়ানোর সামর্থ্যও মানসিক ফিটনেস। ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি ও নিউরোসাইন্স বিশেষজ্ঞ ডক্টর এন্ড্রু মিকি এর মতে মানসিক ফিটনেস হলো ইতিবাচক অনুভূতি চিন্তা ও কাজের সমন্বয়ে মনের এক সমৃদ্ধ অবস্থা। আর যেকোনো পরিস্থিতিতে ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ নিতে পারে। একজন প্রোএকটিভ মানুষ কি কি নেই তা নিয়ে হতাশ না হয়ে যা আছে তা নিয়ে কাজ করেন সফল মানুষ সবসময় এক্ট করে এবং ব্যর্থরাই শুধু রিএক্ট করে।

সামাজিক ফিটনেস বাড়ানো এবং এজন্য সবাইকে আগে সালাম দেয়া দেয়াল তৈরি না করে মমতার সেতুবন্ধন করা নিয়মিত বাস্তবযোগাযোগ করা ছোট ছোট সহযোগিতা করা চারপাশের প্রতিবেশীদের সাথে একাত্মতা তৈরি করা মনোযোগী শ্রোতা হওয়া বিশ্বস্ত থাকা। বিচ্ছিন্ন বা একা না থেকে সবাই মিলে ভালো থাকা মানুষ ও সমাজ হবে পরিবারকেন্দ্রিক। এবং সমাজ মানুষ মুক্তি পাবে জবাবদিহি হিন ব্যক্তি বাদ ও নৈরাশ্যবাদ থেকে.

সমাজে একজন অন্যজনকে সহযোগিতার মধ্যেই রয়েছে সাফল্যের মূল মন্ত্র। যেমন একটা গল্প আছে জান্নাত এবং জাহান্নাম নিয়ে। সেখানে গিয়ে দেখা গেল উভয় জায়গায় এদের বাসিন্দা দেরকে প্রায় এক ই রকম উপকরন দেয়া হয়েছে। বড় একটা ডাইনিং টেবলে সবাই খেতে বসেছে। দুই জায়গাতেই প্রচুর খাবার দাবার পারিবেশিত হয়েছে। কিন্তু সেখানে নিয়ম হলো কেউ হাত দিয়ে খেতে পারবে না। প্রত্যেককে চামচ দিয়ে খেতে হবে। এবং সে চামচটা এত বেশি লম্বা যে কেউ নিজে নিজে খেতে গেলে পারবে না। তো জাহান্নামে গিয়ে দেখা গেল সবাই অসম্ভব লম্বা চামচটা দিয়ে চেস্টা করছে খাওয়ার কিন্ত পারছে না। চামচটা মুখের কাছে আনা যায় না তার আগেই সব খাবার পরে যায়। এভাবে করে করে জাহান্নামের সবাই হতাশ ও অভুক্ত রয়ে গেল। কিন্তু জান্নাতে গিয়ে দেখা গেল তারা সবাই হাশিখুশি পরিতৃপ্ত। তারা সবাই পেটপুরে খেয়েছে। কিভাবে? আসলে তারা নিজে খাওয়ার আগে অন্যের কথা চিন্তা করেছে। তাই কেউ নিজে নিজে খাওয়ার চেস্টা করেনি। তারা অন্যকে আগে খাইয়ে দিয়েছে। আর অন্যকে খাওয়াতে গেলে লম্বা চামচ কোন সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়নি। কোন খাবার আর চামচ থেকে পড়েও যায়নি। ফলে সবাই একজন আরেকজনকে খাইয়ে দিয়েছে। তাই জান্নাতে সবাই পরিতৃপ্ত। অন্যদিকে জাহান্নামের সবাই হতাশ ও অভুক্তই রয়ে গেলো। তাই এই গল্প থেকে বুঝা যায় সমাজে সহযোগিতা সহমর্মিতার গুরুত্ব কতখানি।

ক্ষোভ থেকেও মুক্ত হতে শিখতে হবে। ক্ষোভ হলো এমন একটি বিষ যা সে নিজে পান করে আশা করে প্রতিপক্ষের মৃত্যু অথবা ক্ষতি। তাই বোকা ও দুর্বল এর মত রাগ, ক্ষোভ ও অভিমান না করে বুদ্ধিমানের মতো কৌশলের পরিস্থিতি বদলে দিতে শিখতে হবে।

কৃতজ্ঞ হতে শেখা এবং ছোট ছোট বিষয় থেকে আনন্দ খুঁজে নেয়ার চেষ্টা করতে হবে।

সর্বোপরি সকল সাফল্যের মুল অনুঘটক হলো দৃষ্টিভঙ্গি। তাই দৃষ্টিভঙ্গি বদলান জীবন বদলে যাবে এই মূলমন্ত্রে বিশ্বাসী হয়ে কোয়ান্টাম কাজ করছে মানুষের জীবনের পরিবর্তন আনতে। ব্যাক্তি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন এর সাথে সাথে একটি আমাদের দেশের জাতিয় দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে কাজ করছে।

যেখানে সারা বিশ্ব লোভ-লালসা ও কনজিউমার ইজম জ্বরে আক্রান্ত হয়ে কাঁপছে এবং ঋণ করে এমন কি অন্যায় করে হলেও ঘি খাওয়ার অভ্যাস করছে সেখানে কোয়ান্টাম আমাদেরকে শিক্ষা দিচ্ছে ধৈর্য ও মিতব্যয়িতার। দিচ্ছে ঋণ না করে পৃথিবিকে ঋণী করে যাওয়ার অনুপ্রেরণা।

দিচ্ছে নিজের কাজকে ভালোবাসতে শেখার অনুপ্রেরণা। বলছে নিজের কাজ সবচেয়ে ভালোভাবে করাই সত্যিকারের দেশপ্রেম। আর প্রতিটি ধর্মই কর্মনিষ্ঠা শিক্ষা দেয় যা মানুষকে উত্তরোত্তর ধনী করে।সত্যিকারের ধার্মিক হতে হলে তাকে দায়িত্ব নিতে হবে আর দায়িত্ব নিতে হলে তাকে সচ্ছল হতে হবে। ধর্মকে পুরোপুরি পালন করার জন্য সম্পদের ও প্রয়োজন আছে। যেমন ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের দুটি হল হজ্জ এবং যাকাত যে দুটি পালন করার জন্য তাকে সম্পদশালী হওয়া প্রয়োজন।এভাবে ব্যক্তি উৎকর্ষের মধ্যেই রয়েছে একটি দেশের সামগ্রিক উৎকর্ষের সূতিকাগার ।

কোয়ান্টাম এমন একটি সময়ে জাতিকে আলোক নির্দেশিকা দিচ্ছে যখন সারা পৃথিবী নেতিবাচকভাবে নিজেদেরকে পরিচালিত করছে এবং দিক হারা উন্মাদের মতো প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। কেউ ক্ষমতার লোভে অন্ধ হয়ে আছে, কেউ জোর যার মুল্লুক তার ধারণায় বুদ হয়ে আছে, কেউ ভাবছে বাণিজ্য যুদ্ধে এক নাম্বার হওয়ায় তার একমাত্র লক্ষ্য, কেউ রপ্তানিতে প্রথম হতে চায়, কেউ আমদানিতে, কেউ প্রথম হতে চায় সন্ত্রাসে, মাস্তানিতে, কেউ পুঁজিবাদের নেতৃত্ব দিতে চায়, কেউ ধনী হতে চায়, কেউবা সবচেয়ে উচু বিল্ডিং এর মালিক হতে চায়, চায় অনন্য স্থাপত্য নিদর্শন তৈরি করতে। কিন্তু কেউ ভালো মানুষ হতে চায় না। অনন্য মানুষ হতে চায় না। মানুষ = মন + হুশ; এটা আর কেউ মনে রাখতে চায় না।

কিন্তু কোয়ান্টাম পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশকে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিতে চায়। ভালো মানুষ ও আলোক উজ্জল হিসেবে দেশকে ব্রান্ডিং করতে চায়। বাঙালি আস্তিক হবে ধার্মিক হবে কিন্তু হবে পরধর্ম সহিষ্ণু। দেশের প্রতিটি মানুষ স্রষ্টার প্রতিনিধিত্বের দায়িত্ব পালন করবে। রক্ষক ভক্ষক হবে না। দেখভাল করবে স্রষ্টার সকল সৃষ্টিকে।

জাতিগতভাবে আমরা উষ্ণ হৃদয় ও দিল খোলা মন নিয়েও গর্ব করতে পারি এবং এই কারণে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষ জাপানিজ চাইনিজ বা অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর মানুষ বাংলাদেশি পাত্র পাত্রীর প্রতি বিশেষ আগ্রহ দেখায়। কারণ জিজ্ঞেস করলে তারা আমাদের উষ্ণ হৃদয়কেই উল্লেখযোগ্য গুণ হিসেবে উল্লেখ করেন। এখন আমাদের প্রয়োজন মস্তিষ্ককে ঠান্ডা করা এবং মেডিটেশন বা ধ্যান এর মধ্য দিয়ে আমরা নিজেদের মস্তিস্ককে ঠান্ডাও ক্ষুরধার করে নিতে পারি।

আর এ লক্ষ্যে কোয়ান্টাম জাতির পথিকৃৎ হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। এর নানা সেবামুলক কাজের মধ্যে মাতৃমঙ্গল কার্যক্রম, দাফন সেবা, রক্তদান কার্যক্রম, এতিমমান কার্যক্রম, স্বনির্ভর আয়ন ইত্যাদি ইত্যাদি। এভাবেই বাংলাদেশ পরিনত হবে সোনার দেশে।

এদেশ এমনিতেই স্রষ্টার বিশেষ আশীর্বাদপুষ্ট এবং করোনা সিক্ত দেশ। এ এমন দেশ যার আয়তন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে নেমে আসা জলের সাথে পলিমাটি ভেসে এসে সমুদ্রের পড়ছে এবং দেশের ভূমির আয়তন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ দেশ ভৌগোলিকভাবে এবং ও ভূ রাজনৈতিক ভাবে সমগ্র বিশ্বের কাছে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।মহীসোপানে উর্বর পলিমাটি ভেসে এসে উৎকৃষ্ট ধরনের মৎস্য খাবারের যোগান দিচ্ছে এবং দেশের মৎস্যভান্ডারকে সমৃদ্ধ করছে এবং মৎস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা তৈরি করছে নতুন নতুন তেল গ্যাস কয়লা লোহা ইউরেনিয়াম সহ নানা প্রাকৃতিক সম্পদের ভান্ডার যেন হাতছানি দিচ্ছে।

এমতাবস্থায় আমাদের করণীয় হলো সম্পদের অপচয় কমিয়ে সুষ্ঠু ব্যবহার এবং সুষ্ঠু বিতরণ নিশ্চিত করা।
ধনী-গরিবের ব্যবধান কমিয়ে উপরতলার এবং নিচের মাঝে সাম্যবস্থা তৈরি করা ও আয় বৈষম্য কমানো।
সততা মানবতার চর্চা করা। প্রতিটি মানুষের সুষ্ঠুভাবে সচ্ছল ভাবে বাঁচার অধিকার নিশ্চিত করা।

এর আগে কোয়ান্টাম জাতিকে উপহার দিয়েছিল মনছবি 2025 অর্থাৎ বিশ্বের সেরা 10 জাতি এক জাতি হওয়ার মন্ত্র। হাজার হাজার মানুষ যে মনছবি দেখে আসছে গতকয়েক দশক ধরে।

জাতিগত এই মন ছবি আর অলীক ছবি নয় কিছু কিছু এখন বাস্তব ছবিতে ধরা পড়ছে যেমন বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি সারাবিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-

ইলিশ উৎপাদনে, তৈরি পোশাক রপ্তানিতে, চাল উৎপাদনে, ছাগল উৎপাদনে, আম উৎপাদনে, ফ্রিল্যান্সিংয়ে, আলু উৎপাদনে, সবজি উৎপাদনে, বাইসাইকেল রপ্তানিতে, মৌসুমী ফল উৎপাদনে, পাট উৎপাদনে, মাছ উৎপাদনে, আলু উৎপাদনে, চাল উৎপাদনে, কাঁঠাল উৎপাদনে, মৌসুমী ফল উৎপাদনে আম উৎপাদনে ছাগল উৎপাদনে জনশক্তিতে, মাছ উৎপাদন, পাট উৎপাদনে, তৈরি পোশাক রপ্তানিতে, জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে, বৈদেশিক মুদ্রায়, ক্রিকেটে ইত্যাদি।

খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, বিদ্যুৎ খাতে সাফল্যে, গ্রামীণ অর্থনীতির বৈপ্লবিক পরিবর্তনে, শিক্ষায় সাফল্যে, সফলভাবে মহামারী মোকাবেলায়, দুর্যোগ মোকাবেলায়, ওষুধ শিল্পের বিকাশ, মাতৃমৃত্যু ও শিশু মৃত্যুহার কমায়, গড় আয়ু বৃদ্ধিতে ও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।

স্বঅর্থায়নে পদ্মা সেতু প্রকল্প নির্মাণ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর, মেট্রোরেল, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল ইত্যাদিও উল্লেখযোগ্য।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের তরুণরা ক্রমাগতই ভালো করছে যেমন গণিত রোবটিক্স প্রোগ্রামিং পদার্থ বিজ্ঞানমৃত্তিকাবিজ্ঞান অর্থনীতি মেডিসিন সহ বিভিন্ন অংশ নিয়ে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছে তারা।

বাংলাদেশ আর তলাবিহীন ঝুড়ি নয় বরং সম্পদে উপছে পড়া এমন ঢাকনা বিহীন ঝুড়ি যেখান থেকে সম্পদ আহরণের জন্য সারা বিশ্ব থেকে সবাই ছুটে আসছে।

এখন আমরা মনছবি দেখি এক মানবিক মহা সমাজের যেখানে প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সকলের জন্য থাকবে টান, দেশ মাটি ও মানুষের জন্য থাকবে গভীর ভালোবাসা। সে হৃদয়ের টানে, সমমর্মিতা বলে আমরা রূপান্তরিত হবো এক মহান জাতিতে। আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে গড়ে তুলবো সমৃদ্ধ স্বদেশ- স্বর্গভূমি বাংলাদেশ!

#মোহাম্মদ মাহমুদুজ্জামান, সম্পাদক, সাপ্তাহিক বিপরীত স্রোত।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.