ন্যাটোতে ফিনল্যান্ড-সুইডেনের অন্তর্ভুক্তির আলোচনা আটকে দিল তুরস্ক

মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের অন্তর্ভুক্তির আলোচনা শুরু করতে দেয়নি তুরস্ক। দেশটি বলেছে, যতক্ষণ পর্যন্ত তুরস্কের নিরাপত্তার প্রতি সম্মান দেখানো না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত ফিনল্যান্ড ও সুইডেনকে ন্যাটো জোটের সদস্য হতে দেয়া হবে না।

তুরস্ক শুরু থেকেই বলে আসছে, ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন তুরস্কের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন করছে। খবর- পার্সটুডের

গত সোমবার ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন ন্যাটো জোটে যোগ দেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন জানায়। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই ন্যাটো জোট দেশটিকে সদস্য করার জন্য আলোচনা করতে ব্রাসেলসের জড়ো হয়। কিন্তু তুরস্কের বিরোধিতার কারণে সে আলোচনা শুরু করা যায়নি।

এর আগে ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ বলেছিলেন, আগামী এক/দুই সপ্তাহের মধ্যে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের অন্তর্ভুক্তির আলোচনার প্রথম ধাপ শেষ করা হবে। কিন্তু তুরস্কের বাধার মুখে দেশ দুটি আদৌ সদস্য হতে পারবেন কিনা তা নিয়েই সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

তবে ন্যাটো জোটের মুখপাত্র বলেছেন, ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন ন্যাটো জোটের ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং তাদের অংশগ্রহণে ইউরো-আটলান্টিক নিরাপত্তা জোরদার হবে।

এদিকে জার্মান বার্তা সংস্থা ডিপিএ জানিয়েছে, আঙ্কারা কিছু নিরাপত্তাগত উদ্বেগ তুলে ধরেছে এবং তারা বলেছে এই মুহূর্তে তারা ন্যাটো জোটে ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের প্রবেশের বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে পারে না। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান ন্যাটো জোটের সমালোচনা করে বলেছেন, এই জোট তুরস্কের স্পর্শকাতরতা প্রতি সম্মান দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে।

তুরস্কের জাতীয় সংসদে গতকাল এরদোয়ান বলেছেন, আমরা ৩০ জন সন্ত্রাসীকে ফেরত চেয়েছি কিন্তু তারা বলেছে আমরা তাদেরকে ফেরত দেবো না। তোমরা সন্ত্রাসীদেরকে হস্তান্তর করবে না, তাহলে তোমরা নেটওয়ার্কেও যোগ দিতে পারবে না। আমরা তাদের জন্য হ্যাঁ বলতে পারি না।

১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ন্যাটো জোটে ১৯৫২ সালে যোগ দেয় তুরস্ক। মার্কিন নেতৃত্বাধীন এই জোটে নতুন সদস্য গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রতিটি দেশের সম্মতির প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে এই জোটে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের অন্তর্ভুক্তির বিরোধিতা করার ক্ষেত্রে ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করার সুযোগ পাবে তুরস্ক।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.