পি কে হালদারের পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনা সম্ভব: আইনমন্ত্রী

বাংলাদেশে বিচারের মুখোমুখি করে প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের পাচার করা টাকা দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

গত শনিবার (১৪ মে) হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের মামলার আসামি পি কে হালদার ভারতে আটক হন। তারপর থেকেই তাকে দেশে ফেরত ও পাচার করা অর্থ কি প্রক্রিয়ায় দেশে আসবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

মঙ্গলবার (১৭ মে) আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়ন পর্যালোচনা নিয়ে দ্বিতীয় জাতীয় সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, প্রক্রিয়া জটিল হলেও পি কে হালদারের টাকা ফেরত পাওয়া সম্ভব।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। সেই নীতি অনুযায়ী দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংস্থা পদক্ষেপ নিচ্ছে। সম্প্রতি পি কে হালদার ভারতে গ্রেফতার হয়েছেন। তাকে ধরার পর তার বিচার ও পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে গেছে।

টাকা ফেরতের জন্য প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা ও ফেরামাত্রই তার বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে বলে জানান মন্ত্রী।

বিদেশ থেকে পাচার করা টাকা দেশে ফেরত আনা কঠিন জানিয়ে তিনি বলেন, আপনাদের এটি বলতে পারি টাকা আনাটা কিন্তু কঠিন। তবে এই টাকা আনা সহজ হবে। কারণ সারা পৃথিবীতেই মানি লন্ডারিংয়ের বিরুদ্ধে অনেক কঠিন আইন রয়েছে। আমাদের দেশেও মানি লন্ডারিং আইন কঠিন। তবে আমি মনে করি, সঠিক পদক্ষেপ নিলে এটা ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

পি কে হালদারকে কবে নাগাদ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে অ্যাডভান্স (আগাম) কিছু বলতে চাই না। আমরা নিশ্চয়ই তাদের সঙ্গে আলাপে বসবো। আমাদের এখানে যেহেতু মূল অপরাধটা করা হয়েছে, আমরা তাকে আগে চাইবো। সেটাই স্বাভাবিক।

দেশের বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে থেকে ভারত, কানাডা ও দুবাইয়ে কয়েক হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন পি কে হালদার। অর্থপাচারের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ৩৪টি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.