মে মাসেই বাজারে উঠবে দিনাজপুরের লিচু

রং আসতে শুরু করেছে দিনাজপুরে লিচুর বাগানগুলোতে পাতার ফাঁকে ফাঁকে লিকুয়ে থাকা লিচুর গুটিতে। তাই ব্যাবসায়ীরা আশা করছেন, চলতি মাসেই বাজারে উঠতে শুরু করবে লিচুর রাজ্য হিসেবে পরিচিত দিনাজপুরের দিনাজপুরের লিচু। তাই ভালো ফলন পেতে লিচু চাষি ও যারা বাগান কিনেছেন তারা সকলেই বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

দেশজুড়ে রয়েছে দিনাজপুর জেলার লিচুর ব্যাপক সুনাম । ১৩ উপজেলার মধ্যে দিনাজপুর সদর, বিরল, চিরিরবন্দর, কাহারোল, বীরগঞ্জ, খানসামা উপজেলায় সিংহভাগ লিচু উৎপাদন হয়।

ইতিমধ্যে বিভিন্ন জাতের লিচুর মধ্যে বেদানা, বোম্বাই, মাদ্রাজি, চায়না-থ্রি আর দেশি লিচুর গুটি ফলনে নুয়ে পড়েছে গাছের ডালপালা। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই স্থানীয় বাজারে মাদ্রাজি লিচু পাওয়া যাবে বলে জানান বাগান মালিকরা।

এদিকে লিচুর উন্নত জাতের উদ্ভাবনের পাশাপাশি জেলার লিচু চাষিদের পরামর্শ দিয়ে আসছে স্থানীয় কৃষি অধিদফতর। গত বছরের তুলনায় এবার ২৮০ হেক্টর জমিতে অতিরিক্ত লিচু চাষ হচ্ছে। গত বছর ৫ হাজার ৭০৭ হেক্টর জমিতে লিচুর ফলন হয়েছিল।

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত বাগান মালিক ও লিচু ব্যবসায়ীরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবার মৌসুমের আগে থেকেই অতিরিক্ত ফলনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করেছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, দিনাজপুর জেলায় ৫ হাজার ৭৮৭ হেক্টর  জমিতে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার লিচুবাগান রয়েছে। এসব বাগানে প্রায় ৩ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি গাছ রয়েছে। এবার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৩৫ হাজার মেট্রিক টন।

গত বছর দিনাজপুরে মাদ্রাজি, চায়না, বেদানা, বোম্বাই, কাঁঠালি, হাড়িয়া ও দেশি জাতের লিচুর ফলন ভালো হয়েছিল। সুমিষ্ট হওয়ায় চায়না-থ্রি আর বেদানা লিচুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। প্রকারভেদে প্রতি শ চায়না-থ্রি ৫৫০-৭৫০ টাকা , বেদানা ৫০০-৬০০ টাকা, বোম্বে ২৫০-৩০০ টাকা ও মাদ্রাজি ১৪০-১৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়।

অর্থসূচক/এমআর

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.