আর্থিক প্রতিষ্ঠান কেলেঙ্কারির মূল হোতা পিকে হালদার ও তার যতো অপকর্ম

দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে সাড়ে তিন হাজারকোটি টাকারও বেশি অর্থ লুটপাটের অন্যতম হোতা পি কে হালদার বা প্রশান্ত কুমার হালদার। কমপক্ষে চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান কেলেঙ্কারির খলনায়ক এই পি কে হালদার। তার এই অপকর্মের কারণে পুরো আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে পারছে না এসব প্রতিষ্ঠান।

শনিবার (১৪ মে) দেশ থেকে দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকা পি কে হালদার ভারতে গ্রেপ্তার হন। তিনি ছিলেন এ দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠান রিলায়েন্স ফাইন্যান্স ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এই পদে থেকেই তিনি তার সব অপকর্ম শুরু করেন।
পিকে হালদারের গ্রেপ্তার দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের জন্য একটা ভালো সংকেত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, পিকে হালদারের গ্রেপ্তার পুরো খাতের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। এই ঘটনার ফলে আর কেউ টাকা মেরে বুক উঁচিয়ে চলার সাহস করবে না। এখন তাঁর থেকে সম্পদ ও টাকা উদ্ধার করে ক্ষয়ে যাওয়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দিলে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াবে। এরপর আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিতে হবে। এভাবে প্রতিষ্ঠানগুলো টিকে যেতে পারে।

পি কের যত অপকর্ম:
কমপক্ষে চারটি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) মালিকানায় অস্বাভাবিক পরিবর্তন আসে। সেই চার প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থা এখন চরম খারাপ। একটি বিলুপ্তের পথে, বাকি তিনটিও গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে পারছে না। প্রতিষ্ঠান দখল করার জন্য নামে-বেনামে অসংখ্য কোম্পানি খুলেছেন, শেয়ারবাজার থেকে বিপুল পরিমাণ শেয়ার কিনেছেন, দখল করা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণের নামে টাকাও সরিয়েছেন। এমনকি দেশের বাইরেও কোম্পানি খোলেন। প্রতিষ্ঠানগুলো দখলের সময় পি কে হালদার প্রথমে রিলায়েন্স ফাইন্যান্স এবং পরে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ছিলেন। ২০১৯ সালের মাঝামাঝিতে যখন তাঁর দখল করা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হতে শুরু করে, তখন পি কে হালদার ভারতে পালিয়ে যান। পরে বসবাস শুরু করেন কানাডা ও সিঙ্গাপুরে। এরপর আবার চলে আসেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গে।
পি কে হালদারের দখল করা প্রতিষ্ঠান চারটি হলো ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি)। চারটি প্রতিষ্ঠান দখলে নিলেও কোনো প্রতিষ্ঠানেই পি কে হালদারের নিজের নামে শেয়ার নেই। তবে এসব প্রতিষ্ঠান থেকে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা লুট করেন।
জানা গেছে, চাকরিজীবনের শুরু থেকে পিকে হালদার চলতেন বীরদর্পে। রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের এমডি হওয়ার পর ওই প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান দখল শুরু করেন। এতে তাঁকে সহায়তা করেন রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের মালিকেরা। এমডি থাকা অবস্থাতেই তিনি অন্য চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দখল করেন। এরপর রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের পরিস্থিতি খারাপ হয়ে পড়লে তাঁকে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের এমডি করে পাঠানো হয়।

একইভাবে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত অন্য প্রতিষ্ঠানও দখল করেন তিনি। দখল করা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা নিয়ে শেয়ার কিনে তিনি কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেন। পি কে হালদারের নিয়ন্ত্রণে যাওয়া শেয়ারবাজারের তিন প্রতিষ্ঠান হলো সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, রহমান কেমিক্যালস ও নর্দান জুট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড। এর বাইরে আজিজ ফাইবার্স জুট মিলের নিয়ন্ত্রণও এখন তাঁর হাতে, যেটি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আজিজ পাইপসের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ছিল। পাশাপাশি কক্সবাজারে নির্মানাধীন র‌্যাডিশন হোটেলের মালিকও তিনি।

যেসব প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেন, তার সব শেয়ার অন্যদের নামে হলেও ঘুরেফিরে আসল মালিক পি কে হালদারই। নিজের নামের সঙ্গে মিল রেখে পি কে হালদার গড়ে তুলেছেন একাধিক প্রতিষ্ঠান, যার বেশির ভাগই কাগুজে। এর মধ্যে রয়েছে পিঅ্যান্ডএল ইন্টারন্যাশনাল, পিঅ্যান্ডএল অ্যাগ্রো, পিঅ্যান্ডএল ভেঞ্চার, পিঅ্যান্ডএল বিজনেস এন্টারপ্রাইজ, হাল ইন্টারন্যাশনাল, হাল ট্রাভেল, হাল ট্রিপ, হাল ক্যাপিটাল, হাল টেকনোলজি অন্যতম। এর বাইরে আনন কেমিক্যাল, নর্দান জুট, সুখাদা লিমিটেড, রেপটাইল ফার্মসহ অনেক প্রতিষ্ঠান।
কাগজে-কলমে এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় আছেন পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, ভাই প্রীতিশ কুমার হালদার ও তাঁর স্ত্রী সুস্মিতা সাহা, খালাতো ভাই অমিতাভ অধিকারী, অভিজিৎ অধিকারী, আইনজীবী সুকুমার মৃধা, তার মেয়ে অনিন্দিতা মৃধাসহ বিভিন্ন আত্মীয়। আবার ব্যাংক এশিয়ার সাবেক এমডি ইরফানউদ্দিন আহমেদ ও সাবেক সহকর্মী উজ্জ্বল কুমার নন্দীও আছেন কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মালিকানায়।

ঋণের নামে টাকা লোপাট, নামে-বেনামে পুঁজিবাজার থেকে বিপুল পরিমাণ শেয়ার কিনেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে হালদারের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি তিনি ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ও পরে নিজের আত্মীয়, বন্ধু ও সাবেক সহকর্মীসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে পর্ষদে বসিয়ে অন্তত চারটি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান দখল করেন তিনি।

দুদকের অভিযোগ:

চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ছাড়া্ও একাধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ১০ হাজার ২শ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। রয়েছে বিপুল অংকের অর্থ বিদেশে পাচারের অভিযোগ।
অস্তিত্বহীন ৩০-৪০টি প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে ঋণের নামে জালিয়াতি করে এসব প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ সরিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে দুই হাজার ৫০০ কোটি, এফএএস ফাইন্যান্স থেকে প্রায় দুই হাজার ২০০ কোটি, রিলায়েন্স ফাইন্যান্স থেকে প্রায় দুই হাজার ৫০০ কোটি ও পিপলস লিজিং থেকে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এসব ঋণের বিপরীতে মর্টগেজ (জামানত) নেই বলে দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তে উঠে এসেছে।
নিজের নামের সঙ্গে মিল রেখে পি কে হালদার গড়ে তোলেন একাধিক প্রতিষ্ঠান, যার বেশির ভাগই কাভাগই কাগুজে। এর মধ্যে রয়েছে পিঅ্যান্ডএল অ্যাগ্রো, পিঅ্যান্ডএল ইন্টারন্যাশনাল, পিঅ্যান্ডএল ভেঞ্চার, পিঅ্যান্ডএল বিজনেস এন্টারপ্রাইজ, হাল ট্রাভেল, হাল ইন্টারন্যাশনাল, হাল ট্রিপ, হাল ক্যাপিটাল, হাল টেকনোলজি, সুখাদা লিমিটেড, আনন কেমিক্যালস।

২০১৯ সালে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় প্রথম পি কে হালদারের নাম সামনে আসে। এ সময় দুদক যে ৪৩ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে, তাদের মধ্যে পি কে হালদার একজন।
২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন পি কে হালদারের বিরুদ্ধে ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, পলাতক পি কে হালদার তার নামে অবৈধ উপায়ে এবং ভুয়া কোম্পানি ও ব্যক্তির নামে প্রায় ৪২৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ গড়েছেন।

অবৈধ সম্পদের অবস্থান গোপন করতে ১৭৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করেন পি কে হালদার। তিনি এসব অ্যাকাউন্টে ৬ হাজার ৮০ কোটি টাকা জমা রাখেন। পাশাপাশি এসব অ্যাকাউন্ট থেকে তার নামে ও বেনামে আরও ৬ হাজার ৭৬ কোটি টাকা উত্তোলন করেন।
দুদকের তথ্য বলছে, পি কে হালদার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অন্তত ১১ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা আত্নসাৎ করেন তিনি। কোম্পানিটি নিয়ন্ত্রণে নিতে ২০১৫ সালে বিভিন্ন নামে শেয়ার কেনেন পিকে। এর মধ্যে রয়েছে, হাল ইন্টারন্যাশনাল, বিআর ইন্টারন্যাশনাল, নেচার এন্টারপ্রাইজ, নিউ টেক এন্টারপ্রাইজ। হাল ইন্টারন্যাশনালের ৭০ শতাংশ শেয়ারের মালিক পি কে হালদার নিজে নেন। প্রায় ৩০টি প্রতিষ্ঠানের নামে বের করে নেওয়া হয় ২ হাজার ২৯ কোটি টাকা।

বিআইএফসির তে আমানত রাখা গ্রাহকরা এখনো আমানতে ফিরে পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। সুকুজা ভেঞ্চার ও কাঞ্চি ভেঞ্চার নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রন নেন পিকে হালদার। সুকুজা ভেঞ্চারের শেয়ার সুখাদা লিমিটেড ও সুকুমার মৃধার মেয়ে অনিন্দিতা মৃধার হাতে। এর মধ্যে অনিন্দিতা মৃধার শেয়ারই ৯০ শতাংশ। কাঞ্চি ভেঞ্চারের ৯৫ শতাংশ শেয়ার হাল ইন্টারন্যাশনালের হাতে থাকে।

প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় পিপলস লিজিং থেকে। এ প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ ছিল আনন কেমিক্যাল নামের একটি প্রতিষ্ঠানের। আবার আনন কেমিক্যালের ৯৪ শতাংশ শেয়ার প্রিতিশ কুমার হালদারে হাতে ও ৫ শতাংশ শেয়ার তার খালাতো ভাই অভিজিৎ অধিকারীর হাতে। পিপলস লিজিংয়ের আমানত ফেরত দিতে না পারায় অবসায়ন ঘোষণা করা হয়।

এফএএস ফাইন্যান্স থেকে প্রায় দুই হাজার ২০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ পিঅ্যান্ডএল ইন্টারন্যাশনাল ও রেপটাইল ফার্মের নামে প্রতিষ্ঠান খোলেন পি কে হালদার। মালিক মূলত পি কে হালদারই।

কোনো ব্যবস্থা নেয়নি নিয়ন্ত্রণ সংস্থা :
পিকে হালদার এসব অপকর্মে একটি শীর্ষ গ্রুপের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেও বড় সমর্থন পায়। এর ফলে রাতারাতি একাধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান চলে যায় তার নিয়ন্ত্রণে। চোখের সামনে প্রতিষ্ঠান চারটি লুট করলেও কোন ব্যবস্থা নেয় নি বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের এমডি রাশেদুল হক গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে বলেন, পি কে হালদারের ক্ষমতার উৎস ছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর ও নির্বাহী পরিচালক শাহ আলম। পি কে হালদার বিভিন্ন সময় আর্থিক সুবিধা ও মূল্যবান উপঢৌকন দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের ওই দুই কর্মকর্তাকে বশে রেখে দুর্নীতির মাধ্যমে অবাধে অর্থ লোপাট করেন।
এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী ও নির্বাহী পরিচালক শাহ আলমকে গত ২৯ মার্চ জিজ্ঞাসাবাদ করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে তাঁরা অর্থ লোপাটে নিজেদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেন।

কে এই পি কে হালদার:
পি কে হালদারের জন্ম পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার দিঘিরজান গ্রামে। বাবা প্রয়াত প্রণনেন্দু হালদার ও মা লীলাবতী হালদার। তাঁর মা ছিলেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। পি কে হালদার ও তাঁর ভাই প্রীতিশ কুমার হালদার—দুজনই বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। পরে দুজনই ব্যবসায় প্রশাসনের আইবিএ থেকে এমবিএ করেন। পাশাপাশি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট সম্পন্ন করেন পি কে হালদার।
শিক্ষাজীবন শেষে পি কে হালদার যোগ দেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইআইডিএফসিতে, ২০০৮ সাল পর্যন্ত উপব্যবস্থাপনা (ডিএমডি) পরিচালক ছিলেন। ১০ বছরের ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা নিয়েই ২০০৯ সালে তিনি রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের এমডি হয়ে যান। এরপর ২০১৫ সালের জুলাইয়ে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের এমডি পদে যোগ দেন।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.