অস্থিরতা কাটছেই না ডলারের বাজারে

ব্যাংক-খোলাবাজারে পার্থক্য ৭ টাকা

ডলারের বিপরীতে টাকার মান কয়েক দফা কমানোর পরেও স্বাভাবিক হচ্ছে না বাজার। অস্বাভাবিক হারে আমদানি ব্যয় বাড়ায় ডলারের দামও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। রিজার্ভ থেকে ডলার ছেড়েও অস্থিরতা কাটছে না। এদিকে ব্যাংকের পাশাপাশি খোলাবাজারেও ডলারের যোগান ও চাহিদায় বড় ধরনের অসামঞ্জস্য তৈরি হয়েছে। দাম বাড়তে বাড়তে ব্যাংক এবং খোলাবাজারে ডলারের দামের পার্থক্য এখন ৭ টাকা, এতে অবৈধ পথে প্রবাসী আয় বাড়ার আশঙ্কা করছেন ব্যাংকাররা। এ ছাড়া খোলাবাজারে প্রতি ডলার কিনতে হচ্ছে প্রায় ৯৪ টাকা দিয়ে। এতে বিপাকে পড়েছেন পর্যটক ও চিকিৎসার জন্য বিদেশগামী যাত্রীরা। দুশ্চিন্তায় রয়েছেন আগামী মাসে হ্জগামী যাত্রীরাও।

শনিবার (১৪ মে) রাজধানীর মতিঝিল ও পল্টন এলাকার মানি চেঞ্জারসহ খোলাবাজারে মার্কিন ডলার ৯৩ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ৯০ পয়সা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর তারা কিনছেন ৯৩ টাকা ৫০-৬০ পয়সায়।

জানা গেছে, আজ ছুটির দিন হওয়ায় খোলাবাজারে ডলারের দাম এদিন কিছুটা কম ছিল। তবে বৃহস্পতিবার ( ১২ মে) যা বিক্রি হয়েছে ৯৪ টাকার বেশি দরে। এর ফলে বিদেশগামী যাত্রী, রোগী ও পর্যটকদের খরচ বেড়ে গেছে।

এদিন, মতিঝিলে ডলার কিনতে আসা সোহেল হাসান বলেন, আমার বাবা চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে যাবেন। সেজন্য প্রয়োজনীয় ডলার কিনতে এসেছিলাম। কিন্তু ডলারের দাম অনেক বেশি হওয়ায় যতটুকু কিনতে চেয়েছিলাম তার থেকে কম কিনতে হয়েছে। এতে চিকিৎসার ব্যাঘাত ঘটতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। এ সময় সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে ডলারের দাম কমানোর অনুরোধ জানান তিনি।

এদিকে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনার কারণে দীর্ঘসময় মানুষ দেশের বাইরে যাননি। ফলে এখন করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় অনেক মানুষ চিকিৎসার প্রয়োজনে বা ঘুরতে দেশের বাইরে যাচ্ছেন। আবার, আগামী মাসেই হজগামী যাত্রীরা সৌদি আরব যাবেন। ফলে ডলারের চাহিদা অনেক বেড়েছে। সেই অনুপাতে সরবরাহ কম থাকায় ডলারের দামও অনেক বেশি বেড়ে গেছে। তাদের মতে, যিনি যে দেশে যাচ্ছেন, তাঁর জন্য সেই দেশের মুদ্রা সহজলভ্য করা হলে তা ডলারের ওপর চাপ কমাতে পারে।

মানি চেঞ্জার ও খোলাবাজারের মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্তমানে অনেক বেশি সংখ্যাক মানুষ দেশের বাইরে ঘুরতে বা চিকিৎসার কাজে যাচ্ছেন। ফলে ডলারের চাহিদা অনেক বেশি। কিন্তু সেই তুলনায় ডলারের সরবরাহ কম।

তাদের মতে, সাধারণত বিদেশ থেকে যাঁরা আসেন, তাঁরা সঙ্গে করে ডলার নিয়ে আসেন। নগদ ডলারের যোগানের এটাই একমাত্র মাধ্যম। আর দেশের মানুষের হাতে যা থাকে, তা অনেক সময় বিক্রি করেন। এ ছাড়া বিদেশি পর্যটকেরা ডলার বিক্রি করে টাকা নেন। কিন্তু এখন ডলার বিক্রি করতে খুব বেশি গ্রাহক আসেন না। ব্যবসায়ীরা নিজেদের হাতে থাকা ডলার বিক্রি করছেন। অর্থাৎ খোলাবাজারে চাহিদার তুলনায় যোগান কম হওয়ায় ডলারের দাম বাড়ছে।

জানতে চাইলে যমুনা মানি চেঞ্জারের স্বত্তাধিকারী আনিসুজ্জামান অর্থসূচককে বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই ডলারের দাম বেশি। এর কারণ হচ্ছে বাজারে ডলারের সরবরাহ অনেক কম। কিন্তু সেই তুলনায় চাহিদা অনেক বেশি। এ কারণেই দাম বেড়ে গেছে। বাজারে ডলারের সরবরাহ বাড়লেই দাম কমে আসবে। বিদেশ থেকে পকেটে করে ডলার এলেই বাজারে ডলারের ওপর চাপ কমবে।

ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, খোলা বাজারে নগদ ডলারের দাম বাড়ার সঙ্গে রফতানি ও প্রবাসী আয়ের কোন সম্পর্ক নেই। তাঁদের কাছে কেউ ডলার বিক্রি করতে এলে তাঁরা তা কিনে রাখেন। এরপর সেই ডলার বিক্রি করেন।

ব্যাংকেও বাড়ছে ডলারের দাম:

এদিকে খোলাবাজারের মতো ব্যাংকগুলোতেও ডলারের দাম এখন বাড়তি। মাঝে আড়াই মাস ডলারের দাম স্থিতিশীল থাকলেও গত ২২ মার্চ তা আবার বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অস্বাভাবিক আমদানি ব্যয় বাড়ায় ডলারের চাহিদা বেড়ে গেছে। এই হিসাবে গত দশ মাসে ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রা প্রায় ২ টাকা দর হারিয়েছে। আর গত দেড় মাসে ডলারের দাম বেড়েছে ৭০ পয়সা।

বর্তমানে আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে এক ডলারের দাম ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা। আর ব্যাংকগুলো ডলার বিক্রি করছে এর চেয়েও পাঁচ-ছয় টাকা বেশি দরে। ফলে ব্যাংকগুলো ডলার বিক্রি করছে ৯২-৯৩ টাকায়। সেই দামে আমদানি বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে আমদানিকারকদের। এর আগে ঋণপত্র খোলা পণ্যের আমদানিতে ৯৫ টাকা পর্যন্ত দিতে হচ্ছে আমদানিকারকদের। এতে চাপে পড়েছেন আমদানিকারকরা।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলোর কাছে যে দরে ডলার বিক্রি বা কেনে তাকে আন্তব্যাংক লেনদেন ব্যাংক রেট বলে। ব্যাংকগুলোও একে অন্যের কাছ থেকে এই রেটে ডলার কেনাবেচা করে থাকে। চাহিদা বাড়ার সুযোগ নিয়ে ব্যাংকগুলো এই দরের চেয়ে পাঁচ-ছয় টাকা বেশি দামে ডলার বিক্রি করছে। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, এই ব্যবধান কখনই এক থেকে-দেড় টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়।

খোলাবাজারের ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। তবে ব্যাংকগুলো বেশি দামে ডলার বিক্রি করলে বাংলাদেশ ব্যাংক হস্তক্ষেপ করে থাকে। কেননা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আন্তঃব্যাংক দরে ডলার কিনে সেই ডলার বিক্রি করে থাকে ব্যাংকগুলো।

এর আগে দেখা গেছে, ব্যাংকগুলোর বিক্রি করা ডলারের দর আর আন্তঃব্যাংক রেটের মধ্যে বেশি ব্যবধান হলে বাংলাদেশ ব্যাংক সেই পার্থক্যের একটা সীমা নির্ধারণ করে দিত; সেটা এক থেকে দুই টাকার মধ্যে থাকত। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে ব্যাংকগুলো আন্তঃব্যাংক রেটের চেয়ে অনেক বেশি দামে ডলার বিক্রি করলেও এখন পর্যন্ত কোনো হস্তক্ষেপ করেনি বাংলাদেশ ব্যাংক। সে কারণেই দিন যত যাচ্ছে, ইচ্ছামতো ডলারের দাম বাড়িয়ে চলেছে ব্যাংকগুলো; কমছে টাকার মান। এ পরিস্থিতিতে আমদানি খরচ বেড়েই যাচ্ছে; বাড়ছে পণ্যের দাম। সেইসাথে বাড়ছে মূল্যস্ফীতি। তবে রফতানিকারক ও প্রবাসীরা লাভবান হচ্ছেন।

অর্থনীতিবিদদের পরামর্শ:

অর্থনীতিবিদদের মতে, অস্বাভাবিক হারে আমদানি ব্যয় বাড়ায় ডলারের দাম বাড়ছে। তাই ডলারের বাজার স্বাভাবিক করতে আমদানিতে লাগাম টানা ছাড়া এখন আর কোন বিকল্প নেই। পাশাপাশি মুদ্রা বিনিময় হারে যে অসামঞ্জস্য সৃষ্টি হয়েছে তা দূর করতে মুদ্রার আরো অবমূল্যায়ন করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। তারা বলেন, এই সময়ে বিদেশি আয় ধরতে টাকার মান আরও কমাতে হবে। এতে প্রবাসী আয় ও রফতানিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এর প্রভাব পড়বে পুরো অর্থনীতিতে।

এই প্রসঙ্গে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর অর্থসূচককে বলেন, এই মুহূর্তে আমদানির লাগাম টানা ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। ডলারের মূল্য বেড়ে ব্যাংকে এখন ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা। আর খোলাবাজারে তা প্রায় ৯৪ টাকা। এক্ষেত্রে পার্থক্য অনেক বেশি। এতে ব্যাংক ব্যবস্থায় অর্থের স্বাভাবিক প্রবাহ বিঘ্নিত হতে পারে।

এই অবস্থায় মুদ্রার আরো অবমূল্যায়ন করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এভাবে ১০-২০ পয়সা করে না বাড়িয়ে বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া উচিত। পাশাপাশি প্রবাসী আয়ের প্রণোদনা তুলে দেওয়া উচিত। এতে রফতানি আয় বাড়ার পাশাপাশি প্রবাসী আয়েও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশ ব্যাংক খুব ধীরে ধীরে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এটা আরও সময়োপযোগী হলে দেশের জন্য ভালো হতো।

তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী। জিনিসপত্রের দাম নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ আছে। অবশ্য বিশ্বজুড়েই এখন মূল্যস্ফীতি বেশি। আন্তর্জাতিক বাজারে তেল ও চালের দাম চড়া। এর প্রভাব বাংলাদেশেও কিছুদিন থাকবে। অন্যদিকে আমদানি অনেক বাড়ছে। সেই তুলনায় রফতানি আয় এবং রেমিট্যান্স বাড়ছে না। ফলে ব্যালেন্স অব পেমেন্টে অসামঞ্জস্য তৈরি হচ্ছে। ফলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারকে চাল আমদানি বাড়াতে হবে। গত বছরও ৮ লাখ টন চাল আমদানি করেছিল সরকার। চলতি বছর তা বাড়িয়ে ১৫-২০ লাখ টন চাল আমদানি করতে হবে।

প্রবাসী আয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রণোদনা দিয়ে প্রবাসী আয় বাড়ানো যাবে না। কারণ খোলা বাজারে ডলার বিক্রি করলে প্রতি ডলারে ৫ টাকা বেশি পাওয়া যায়। এটা ১ টাকায় নামিয়ে আনতে হবে।

প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি থেকে প্রবাসী আয়ের ওপর আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। আগে যা ছিল ২ শতাংশ।

রেকর্ড ডলার ছেড়েও স্বাভাবিক হচ্ছে না বাজার:

এদিকে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর থেকেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করে আমদানি। রফতানি বাড়লেও কমতে থাকে রেমিট্যান্স। বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভও কমতে থাকে। বাজারে ডলারের চাহিদা বেড়ে যায়; বাড়তে থাকে দাম। বাজার স্থিতিশীল রাখতে আগস্ট থেকে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে।

মুদ্রাবাজার স্বাভাবিক রাখতে সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবারও ৩ কোটি ডলার বিক্রি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের সাড়ে ১১ মাসে (২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে ১২মে পর্যন্ত) ৫১০ কোটি (৫.১০ বিলিয়ন) ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনই বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এত ডলার বাজারে ছাড়া হয়নি। এরপরও বাজারের অস্থিরতা কাটছে না। বেড়েই চলেছে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলারের দাম। দুর্বল হচ্ছে টাকা। কমছে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ।

কমছে রিজার্ভ :

আমদানি বাড়ায় বাংলাদেশের রিজার্ভ চাপের মধ্যে পড়েছে। গত রোববার এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ২ দশমিক ২৪ বিলিয়ন (২২৪ কোটি) ডলারের আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ দেড় বছর পর ৪২ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে। সংকট কাটাতে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে প্রতিনিয়ত ডলার বিক্রি করছে। এতে কমছে রিজার্ভ। বৃহস্পতিবার বিক্রি করেছে ৩২ কোটি ডলার। এতে চলতি অর্থবছরের ডলার বিক্রির পরিমাণ ৫০০ কোটি ছাড়িয়েছে।

আমদানি বাবদ এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল পরিশোধ ও ডলার বিক্রির কারণে রিজার্ভ কমে হয়েছে ৪ হাজার ১৯৫ কোটি ডলার। গত ডিসেম্বরে যা ছিল ৪ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। গত তিন মাস ধরে (জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ) প্রতি মাসে ৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি পণ্য আমদানি হচ্ছে দেশে। এ হিসাবে এই রিজার্ভ দিয়ে পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।

বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগ:

আমদানি নিরুৎসাহিত করতে ঋণপত্র খোলার সময় নগদ জমার হার বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কারণ, দেশে যে রিজার্ভ রয়েছে, তা দিয়ে ভবিষ্যতের ছয় মাসের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করা কঠিন হয়ে যাবে।

পাশাপাশি ডলারের দাম বাড়ায় ও রিজার্ভে টান পড়ায় এখন বিলাসপণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ জন্য গাড়ি ও ইলেকট্রনিক পণ্যের ঋণপত্র খোলার সময় নগদ জমার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনার প্রভাব এবং বহির্বিশ্বে যুদ্ধাবস্থার কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় দেশের মুদ্রা ও ঋণ ব্যবস্থাপনা অধিকতর সুসংহত রাখার লক্ষ্যে আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে নগদ মার্জিন হার পুনর্নির্ধারণ করা হলো। এর ফলে মোটর কার (সেডান কার, এসইউভি ইত্যাদি), হোম অ্যাপ্লায়েন্স হিসেবে ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক সামগ্রীর আমদানির ঋণপত্র খোলার সময় ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ নগদ মার্জিন সংরক্ষণ করতে হবে।

 

অর্থসূচক/এমএস/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.